স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নে গভীর রাতে প্রেমিক প্রেমিকা কে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে রাত ৩টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন স্থানীয়রা।
ওই প্রেমিক প্রেমিকাকে উদ্ধারে জরুরি সেবা থেকে রাজবাড়ী সদর থানায় ফোন দেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে আটক হওয়া প্রেমিক প্রেমিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রাবাসী জয়নালের বাড়িতে প্রতিবেসী লুতফর রহমান (৩০) রাত ১১টার দিকে ঢোকেন। পরে ২ঘন্টা পার হয়ে গেলেও সে বের হয়না। পরে স্থানীয় কিছু লোকজন বাইরে থেকে দরজা ও গেইট লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা ঐ বাড়ির চার পাশ ঘিরে রাখে। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়েছিল তারা।
রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘আমাদের ঢাকা ৯৯৯ নম্বর থেকে জানানো হয় রামকান্তপুর গ্রামের ঘটনার কথা। পরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধারে মোবাইল টিমকে পাঠাই। রাতেই উদ্ধার করা হয় তাদের। ১০ মার্চ রোববার বিকেলে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান কাউন্সিলরের জিম্মায় তাদের কে দেওয়া হয়।
তাদের উদ্ধারের অভিযানে ছিলেন, রাজবাড়ী সদর থানার এসআই আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের থানায় ৯৯৯ নম্বর থেকে সাহায্য চেয়েছেন বলে জানানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয় এলাকাবাসী বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। পরে জনতার হাতে আটক হওয়া প্রেমীক প্রেমীকাকে থানায় নিয়ে আসি।
কিন্তু এদিকে স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়া পূর্ণিমা ও তার মা সাজেদা বেগম জানান, এলাকার পিরু মীর ও তার ছেলে আমাদের বদনাম করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
সাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে ও লুতফর দুজন মিলে একটি পুকুরে মাছ চাস করে। সোমবার রাতে মাছ মারার জন্য আমার ভাই ও ছেলে এবং লুতফর এক সাথে পুকুর চালায় যায়। পরে সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে মাছ রাখার জন্য একটি পাতিল নিতে আমার বাড়িতে আসে। পরে আমি দরজা খুলে দিলে সে ভিতরে আসে আমি পাতিল আনার জন্য ভিতরের রুমে যাই। পরে হঠাত করে দরজায় বেস জোরে একটি শব্দ হয়। এসে দেি খবাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়েছে কে যেন। পরে বাড়ির গেট খুলে বাইরে আসতে গেলে পিরু ও তার ছেলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে গেইট আটকে দেয় বাইরে থেকে। পরে পুলিশ এসে আমার মেয়ে ও লতফর কে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পিরুর সাথে আমাদের বেস কয়েক মাস যাবত পারিবারিক ভাবে দন্দ চলছিল। সে কারনেই পিরু এই ধরনের একটা নেককার জনক কাজ করলো। আমরা এখন এলাকায় মুখ দেখাতে পারছিনা।
পিরু আমাদের বাড়িতে ৬মাস ভাড়া ছিল ভাড়া চাইলে সে ভাড়া দিতে চাইতো না। পরে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেই। তাছারাও আমার ছেলে বাড়ির সামনে একটি ছোট মদি দোকান দিয়েছে। সে কারনেও পিরুর আমাদের উপড়ে ক্ষোভ আছে। কারন আমরা দোকান দেওয়ার পরে তার বেচাকেনা কমে গেছে।
এবিষে পিরু মীর বলেন, তাদের বাড়িতে আমি ভাড়া ছিলাম এটা সত্য তবে ৬মাস নয় ২মাস। কিন্তু তার সাথে আমার কোন ঝামেলা নেই। গত কাল সোমবার রাত ১টার দিকে এলাকার কিছু ছেলে আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বলে যে এই বাড়িতে লুতফর নামে একজন ১১টার দিকে ঢুকেছে এখনো বের হয়নি তাই তারা বাইরে থেকে দরজা ও গেইট লাগিয়ে দিয়েছে। পরে আমি এলাকার আরো দু একজন কে সাথে নিয়ে বাড়ির সামনে যায়। পরে বেস সময় পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় রামকান্তপুর ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ সামচু জানান, রাতে এমন ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লুতফরকে ঐ বাড়িতে দেখতে পাই ও তার মোটরসাইকেলও সে বাড়ির রুমের মধ্যে ছিল। পরে আমি জানতে চাইলাম লুতফর এত রাতে তুমি কেন এই বাড়িতে এই বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ নেই। লুতফর বলে যে মাছ মারর জন্য পাতিল নিতে আইছিলাম। যাই হোক পুলিশ আসার পরে ওদের নিয়ে যায়। পরে বিকেলে থানা থেকে সামাজিক ভাবে বসে সমাজতা করার কথা বলে নিয়ে আসি। সেখানেই লুতফর বলে যে যদি পূর্ণিমাকে আমার কাছে বিয়ে দেয় আমি করতে রাজি আছি। অথছ পূর্ণিমার স্বামী আছে একটি বাচ্চাও আছে আবার লুতফরেরও স্ত্রী সন্তান আছে।
তবে এ বিষয়ে পূর্ণিমার সাথে কথা বলতে গেলে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম শামিম বাধা দেন। তিনি বলেন আমরা তো আর এই ঘটনা পত্রিকায় লিখতে বলছি না। যে আপনি পূর্ণিমার সাথে কথা বলবেন। তবে স্থানীয় সুত্রে জানা যায় শামিমেরও েঐ বাড়িতে বেস জাতায়াত আছে। তিনি লুতফরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও বটে।ঐ বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকায় শামিম ও লুতফর মাঝে মধ্যেই জাতায়াত করেন।