রাজবাড়ী টুডে: প্রতিমন্ত্রী হওয়ার ছয়দিন পরেও দফতরে বসার কক্ষ পাননি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। এ কারণে এখানো অফিসে বসতে পারছেন না তিনি। পাশাপাশি এ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর ছবি ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি আপ করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগে কর্মকর্তাদের বসার জায়গা সংকট রয়েছে। বরাদ্দ দেয়া ১৬টি কক্ষে কষ্ট করে সকলকে অফিস করতে হয়। কয়েকটিতে একাধিক কর্মকর্তা একটি কক্ষে সমন্বয় করে কাজ করছেন। তার উপর নতুন প্রতিমন্ত্রী আসায় এ সংকট আরো বেড়ে গেছে।
তারা জানান, প্রতিমন্ত্রীর জন্য ন্যূনতম তিনটি কক্ষ দরকার। কিন্তু একটি কক্ষও খালি নেই। এ কারণে এখনো প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী অফিস করতে পারছেন না। আর ওয়েবসাইটে তার ছবি ও সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্তও আপ করা হয়নি।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী বলেন, প্রতিমন্ত্রীর জন্য বসার জায়গা তৈরি করা হচ্ছে।
ওয়েবসাইটে প্রতিমন্ত্রীর ছবি ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি আপ না করার প্রসঙ্গে উপসচিব বলেন, যেহেতু শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী এখনো অফিস করছেন না, তাই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তার (প্রতিমন্ত্রীর) প্রোফাইল অাপলোড করা হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ছবি ও প্রোফাইল আপলোড করা হবে।
গত রোববার নতুন শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে বরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি মাসের ২ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদে ব্যাপক রদবদল আনা হয়। নতুন করে ছয়টি মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বারকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, লক্ষীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামালকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে। রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।