স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডেঃ বুধবার সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গোয়ালন্দের ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বৃন্দ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
জানা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি স্বৈরাশাসক দের কাছ থেকে দেশরক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, ছিনিয়ে এনেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকা। আজ আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্বাধীন দেশে বসবাস করছি।
পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় এ ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন মিয়া, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদির উদ্দীন শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাত্তার মিয়া,মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা হাকিম, মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা নিকবার আলি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোবাস বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন গত ফেব্রুয়ারি মাস ২০২২ সাল থেকে তাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার এখন ধারদেনা করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য আসাদুজ্জামান চুন্নু, শিল্পী বেগম, হাবিবুর রহমান হীরা, ফিরোজ শেখ,হাফিজুর রহমান,লিবা আক্তার প্রমুখ।
এ সময় তারা বলেন ইতিমধ্যে যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেছে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। রাষ্ট্র যখন ২০০ টাকা করে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়। তখন থেকেই এই ১৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়া শুরু করে। তাহলে এখন যাচাই-বাছাইয়ের নামে কেন এই ১২ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা কে ভাতা থেকে নাম বাদ দেয়া হবে। অবিলম্বে এই ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা চালুর দাবি জানান তারা।
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তিনি পারেন এই ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা চালু রাখতে।তারা আরো বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ জানান তারা। মানববন্ধন শেষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধারা।