দ্বীন অর্ণব, রাজবাড়ী টুডেঃ রাজবাড়ী আওয়ামী লীগের রাজনীতির পরিসর নিয়ে কিছুটা অভিমত সাধারণ মানুষ সহ তৃণমূল কর্মীদের মাঝে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে তৎকালীন নেতৃত্ব প্রদানকারী পূর্বসূরীদের মধ্যে ছিল অন্যতম কাজী পরিবার।
তৎকালীন সময়ে অন্যান্য কিছু পরিবার নেতৃত্বের সান্নিধ্যে থাকলেও শুধুমাত্র কাজী পরিবারের উত্তরসূরী বা এই পরিবারের নতুন প্রজন্মের ব্যক্তিরা তাঁদের নেতৃত্ব অব্যাহত রেখে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখ্য কিছু বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের অপরাজনৈতিক সমালোচনা সহ হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে এই কাজী পরিবারকে হেয়-প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টাও চালানো হয়েছে। বিশিষ্ট এই রাজনৈতিক পরিবারের অন্যতম এক বিশেষ ব্যক্তিত্ব, জন-মানুষের নিকটে দলের ‘বটবৃক্ষ’ নামে পরিচিত কাজী ইরাদত আলী। সর্বপ্রথম তিনি জেলার বৃহত্তম আওয়ামী পরিবারের উত্তরসূরী, সফল ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, এবং একজন অভিজ্ঞ কর্মী-বান্ধব রাজনীতিবিদ।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক উদ্ভবের পরে আওয়ামী রাজনীতির কর্ণধার হিসেবে নিরলস পরিশ্রমের সাথে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জীবনের অধিকাংশ সময় আওয়ামী রাজনীতির সাথে পথ চলার পাশাপাশি সময়, মেধা, শ্রম এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান সহ কর্মী-বান্ধব নেতৃত্ব প্রদানকারী কাজী ইরাদত আলী বর্তমানে রাজবাড়ী জেলায় আওয়ামী রাজনীতিতে “বটবৃক্ষ”র উপমা।রাজবাড়ী আওয়ামী পরিবারের মধ্য থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদ-ক্ষমতা পেয়েছে দলের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় অনেক নেতাকর্মীই।কিন্ত আওয়ামী পরিবারের মুলধারায় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা কার উপর ভিত্তিপ্রস্তুর তৈরি, ঠিক কার হাত ধরে এই দীর্ঘ পথচলা, এধরণের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যেহেতু সকল সংগঠন এ নেতৃত্বের মাঝে নেতৃত্ব প্রদানকারীদের প্রতিযোগিতা থাকে।এ নিয়ে অনেকে মূলধারার সঙ্গে বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে। অনেকে ব্যক্তি স্বার্থে বিরোধিতার দৃষ্টি ভঙ্গি পোষণ করে আসছেন যেটি দীর্ঘদিন ধরে পরিলক্ষিত।
স্বাধীনতার পরবর্তীকাল হতে আওয়ামী পরিবারের রাজনীতিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি শ্রম, মেধা, সময় নেতৃত্ব প্রদানকারী দক্ষতাসম্পন্ন সফল ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন কাজী ইরাদত আলী। এবার সংপ্রশ্ন হতেই পারে ‘এই বটবৃক্ষ ছাড়া কে আছে রাজবাড়ী জেলায়।পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ীক সহ সকল স্তরে সাফল্যময় ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি, রাজবাড়ী জেলার আওয়ামী পরিবারের একমাত্র আশ্রয়স্থলের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে তাকে ধরে নিয়েছেন অনেকেই। এরই প্রেক্ষিতে তিনি আরো জননন্দিত হয়ে উঠতে থাকেন। এতে অনেকেই বিরোধিতার দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে অপপ্রচারে ব্যস্ত থেকেছেন, ফলে কাজী ইরাদত আলী হয়েছেন প্রতিহিংসার শিকার।
রাজবাড়ী আওয়ামী পরিবারে যারা বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় চেয়ারে বসেছেন, কারো কারো মতে তাদের চেয়ে বেশি কর্মীবান্ধব নেতৃত্বের অধিকারী কাজী ইরাদত আলী।এমনকি তুলনামূলক দলের অন্যদের চেয়ে দলের পৃষ্ঠপোষকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রেখেছেন তিনি।উক্ত বটবৃক্ষের সর্বশেষে আওয়ামী পরিবারের হাল ধরে রাখতে হয়, আবার কখনো নির্বাচন, কখনো কমিটি সমস্ত দায়িত্ব অর্থসহ তার উপরেই থাকে।
বর্তমানে অপ-রাজনীতির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত জাতি ও সমাজ। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পন্থায় তার এই রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা সহ বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালানো হয়েছে দলের এই সাফল্যমণ্ডিত ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে।