সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর জন্য সরকার–নির্ধারিত খরচের চেয়ে বেশি টাকা নিলে সেই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত শ্রম শাখার ৪১ জন কর্মকর্তার বার্ষিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রথম আলোর এক প্রশ্নে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
দীর্ঘ ছয় বছর পর সম্প্রতি সৌদি আরব সব খাতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্মুক্ত করে। এরপর সৌদি আরবে কর্মী যাওয়ার জনপ্রতি খরচ ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
খরচ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, যে টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি যৌক্তিক। এর বেশি টাকা কেউ নিলে দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। প্রয়োজনে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে মন্ত্রণালয়ের কমিটি কাজ করবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের আগে বিভিন্ন দূতাবাসের ২৮টি শ্রম শাখার কাউন্সেলর, প্রথম সচিব ও দ্বিতীয় সচিবদের জন্য আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, কী করে আরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রবাসীদের কল্যাণের বিষয়টিতেও নজর রাখতে হবে। তাঁদের কর্মস্থল ও থাকার জায়গা নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। হুন্ডির বদলে বৈধভাবে যেন আরও বেশি লোক টাকা পাঠাতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার বলেন, ‘মেধা, বিবেচনা ও হৃদয় দিয়ে আপনারা কাজ করবেন। সাধারণ মানুষের কষ্ট অনুধাবনের চেষ্টা করবেন।’
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা। ছবি: শরিফুল হাসানজনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজা বলেন, যাঁরা দূতাবাসের শ্রম শাখায় কাজ করেন, তাঁরা মানবকল্যাণের বিশাল এক সুযোগ পেয়েছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান তিনি।
ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস বলেন, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের কথা শুনতে চান তাঁরা। পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করে সমস্যার সমাধান করতে চান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজহারুল হক।
তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন, ইরাক, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ২৪টি দেশের ২৮টি শ্রম শাখার ৪১ জন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।