ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

সৌদিতে নিহত গোয়ালন্দের চার জনের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম

আল-আমিন, রাজবাড়ী টুডে: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘঘটনা  রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার আপন দুই ভাই সহ চার যুবক নিহত হয়েছে। নিহত ৪ যুবক সৌদীতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।

একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যাক্তিদের হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।এখন শুধু প্রিয়জনের মৃতদেহ ফিরে পেতেই দুই দেশের সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে অসহায় পরিবারগুলো।

গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সৌদীতে এ দূঘটনা ঘটেছে বলে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারগুলোতে এখন শুধুই কান্নার রোল।প্রিয়জনের মুখটি একবার দেখতে দিশেহারা হয়ে কান্না করছে আপনজনেরা।
সৌদীতে সড়ক দূঘটনায় নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দরাপের ডাঙ্গা গ্রামের ওয়াহেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে এরশাদ ব্যাপারী (৩০) ও তার আপন ছোট ভাই হুমায়ুন ব্যাপারী (২৫), একই ইউনিয়নের নাছের মাতুব্বর পাড়ার ওসমান খানের ছেলে কোব্বাত খান (২৫) ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আনছার মাঝি পাড়ার ছহের ম-লের ছেলে মিরাজ ম-ল (২২)।

নিহত এরশাদ ও হুমায়ুন ব্যাপারীর ছোট বোন শাহনাজ ব্যাপারী জানান, তার ভাই এরশাদ গত নয় বছর যাবৎ সৌদি আরবে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনে শ্রমিকের কাজ করেন। গত বছর নভেম্বরে তার ছোট ভাই হুমায়ুনকেও কাজের জন্য সৌদিতে নিয়ে যান। এরপর ডিসেম্বর মাসে এরশাদ দেশে এসে বিয়ে করে চার মাস আগে আবার সৌদি আরবে ফিরে যান।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এরশাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সর্বশেষ মোবাইলে যোগাযোগ হয়। তখন এরশাদ বলেন, তিনি ও তার ছোটভাই হুমায়ুনসহ তাদের এলাকার কয়েকজ কাজের উদ্দেশ্যে দাম্মাম থেকে আরার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

এরপর শুক্রবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৯টার দিকে এরশাদের সহকর্মী লিটন ও মালেক তাদের ফোন দিয়ে জানায় এরশাদ ও হুমায়ুন সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

একসঙ্গে দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাগলপ্রায় হয়ে গেছেন এরশাদ ও হুমায়ুনের মা নুরজাহান বেগম। বিলাপ করতে করেত বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন তিনি। এদিকে, মেহেদীর রং না শুকাতেই স্বামীকে হারিয়ে এরশাদের স্ত্রী শিউলী বেগমও (১৮) পাগলপ্রায়।

বিলাপ করতে করতে নিহত এরশাদের নববধূ শিউলী বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এরশাদের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়েছিলো। তখন এরশাদ তাকে সাবধানে থাকতে বলেছিলেন এবং আগামী কোরবানীর ঈদে তিনি দেশে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন।

এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত কোব্বাতের বাবা ওসমান খান বলেন, আমার তিন ছেলের মধ্যে কোব্বাত সবার ছোট। গত সাড়ে পাঁচ মাস আগে ধারদেনা করে কোব্বাতকে সৌদি আরবে পাঠাই। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে কোব্বাতের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। তখন কোব্বাত আমাকে বলেছিলো, ‘আমি আগে যে কাজ করতাম সেই কাজে বেতন কম। একটু পর নতুন একটি কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হবো, আমার জন্য দোয়া করবেন আব্বা’। এরপর শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে সৌদি আরব থেকে আমার ভাতিজা শামীম ফোন করে জানায় কোব্বাত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।এখন শুধু ছেরের মৃতদেহ ফিওে পেতে চাই।নিজের হাতে দাফন করতে চাই।সরকারের সহযোগীতা কামনা করছি’।

দুর্ঘটনায় নিহত দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মিরাজ ম-লের বাবা কৃষক ছহের ম-ল বলেন, আমার তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মিরাজ তৃতীয় সন্তান। সাত মাস আগে ধারদেনা করে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে মিরাজকে সৌদি আরবে পাঠাই। ২০/২২ দিন আগে তার সঙ্গে আমার সর্বশেষ কথা হয়েছিলো। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সৌদি আরব থেকে আমাদের পাশের গ্রামের আলমাস ফোন করে জানায় মিরাজ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।

সৌদি আরব থেকে ইমোর মাধ্যমে মিরাজ ম-লের চাচাতো ভাই শফিউদ্দিন সূর্যর সাথে কথা হলে তিনি জানান , গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে মিরাজসহ মোট ছয়জন একটি পিকাপ গাড়িতে করে দাম্মাম থেকে কাজের জন্য আরার এলাকায় যাচ্ছিলো। যার দূরূত্ব প্রায় ২ হাজার কিলো মিটার।পথে তাদের গাড়িটি হাবরায়ে আল বাথান এলাকয় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি পিকাপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মিরাজসহ ছয়জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে বাকি তিনজনের বাড়ি উজানচর ইউনিয়নে এবং অপর দুইজনের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।

সুদুর সৌদি আরবে আপনজনদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রতিটি পরিবারেই চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রত্যেকটি পরিবার।

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন জানান, এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো ইউনিয়নবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। নিহতদের মরদেহ দেশে আনতে পরিবারের সদস্যরা আবেদন জানাচ্ছে।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ হাসান হাবীব জানান, নিহতদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছি। মরদেহগুলো দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

সৌদিতে নিহত গোয়ালন্দের চার জনের বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম

আপডেটের সময় : ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০১৭

আল-আমিন, রাজবাড়ী টুডে: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘঘটনা  রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার আপন দুই ভাই সহ চার যুবক নিহত হয়েছে। নিহত ৪ যুবক সৌদীতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।

একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যাক্তিদের হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।এখন শুধু প্রিয়জনের মৃতদেহ ফিরে পেতেই দুই দেশের সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে অসহায় পরিবারগুলো।

গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সৌদীতে এ দূঘটনা ঘটেছে বলে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারগুলোতে এখন শুধুই কান্নার রোল।প্রিয়জনের মুখটি একবার দেখতে দিশেহারা হয়ে কান্না করছে আপনজনেরা।
সৌদীতে সড়ক দূঘটনায় নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দরাপের ডাঙ্গা গ্রামের ওয়াহেদ আলী ব্যাপারীর ছেলে এরশাদ ব্যাপারী (৩০) ও তার আপন ছোট ভাই হুমায়ুন ব্যাপারী (২৫), একই ইউনিয়নের নাছের মাতুব্বর পাড়ার ওসমান খানের ছেলে কোব্বাত খান (২৫) ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আনছার মাঝি পাড়ার ছহের ম-লের ছেলে মিরাজ ম-ল (২২)।

নিহত এরশাদ ও হুমায়ুন ব্যাপারীর ছোট বোন শাহনাজ ব্যাপারী জানান, তার ভাই এরশাদ গত নয় বছর যাবৎ সৌদি আরবে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনে শ্রমিকের কাজ করেন। গত বছর নভেম্বরে তার ছোট ভাই হুমায়ুনকেও কাজের জন্য সৌদিতে নিয়ে যান। এরপর ডিসেম্বর মাসে এরশাদ দেশে এসে বিয়ে করে চার মাস আগে আবার সৌদি আরবে ফিরে যান।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এরশাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সর্বশেষ মোবাইলে যোগাযোগ হয়। তখন এরশাদ বলেন, তিনি ও তার ছোটভাই হুমায়ুনসহ তাদের এলাকার কয়েকজ কাজের উদ্দেশ্যে দাম্মাম থেকে আরার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

এরপর শুক্রবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৯টার দিকে এরশাদের সহকর্মী লিটন ও মালেক তাদের ফোন দিয়ে জানায় এরশাদ ও হুমায়ুন সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

একসঙ্গে দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকে পাগলপ্রায় হয়ে গেছেন এরশাদ ও হুমায়ুনের মা নুরজাহান বেগম। বিলাপ করতে করেত বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন তিনি। এদিকে, মেহেদীর রং না শুকাতেই স্বামীকে হারিয়ে এরশাদের স্ত্রী শিউলী বেগমও (১৮) পাগলপ্রায়।

বিলাপ করতে করতে নিহত এরশাদের নববধূ শিউলী বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এরশাদের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়েছিলো। তখন এরশাদ তাকে সাবধানে থাকতে বলেছিলেন এবং আগামী কোরবানীর ঈদে তিনি দেশে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন।

এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত কোব্বাতের বাবা ওসমান খান বলেন, আমার তিন ছেলের মধ্যে কোব্বাত সবার ছোট। গত সাড়ে পাঁচ মাস আগে ধারদেনা করে কোব্বাতকে সৌদি আরবে পাঠাই। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে কোব্বাতের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। তখন কোব্বাত আমাকে বলেছিলো, ‘আমি আগে যে কাজ করতাম সেই কাজে বেতন কম। একটু পর নতুন একটি কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হবো, আমার জন্য দোয়া করবেন আব্বা’। এরপর শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে সৌদি আরব থেকে আমার ভাতিজা শামীম ফোন করে জানায় কোব্বাত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।এখন শুধু ছেরের মৃতদেহ ফিওে পেতে চাই।নিজের হাতে দাফন করতে চাই।সরকারের সহযোগীতা কামনা করছি’।

দুর্ঘটনায় নিহত দৌলতদিয়া ইউনিয়নের মিরাজ ম-লের বাবা কৃষক ছহের ম-ল বলেন, আমার তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মিরাজ তৃতীয় সন্তান। সাত মাস আগে ধারদেনা করে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে মিরাজকে সৌদি আরবে পাঠাই। ২০/২২ দিন আগে তার সঙ্গে আমার সর্বশেষ কথা হয়েছিলো। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সৌদি আরব থেকে আমাদের পাশের গ্রামের আলমাস ফোন করে জানায় মিরাজ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে।

সৌদি আরব থেকে ইমোর মাধ্যমে মিরাজ ম-লের চাচাতো ভাই শফিউদ্দিন সূর্যর সাথে কথা হলে তিনি জানান , গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে মিরাজসহ মোট ছয়জন একটি পিকাপ গাড়িতে করে দাম্মাম থেকে কাজের জন্য আরার এলাকায় যাচ্ছিলো। যার দূরূত্ব প্রায় ২ হাজার কিলো মিটার।পথে তাদের গাড়িটি হাবরায়ে আল বাথান এলাকয় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি পিকাপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মিরাজসহ ছয়জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে বাকি তিনজনের বাড়ি উজানচর ইউনিয়নে এবং অপর দুইজনের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়।

সুদুর সৌদি আরবে আপনজনদের মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রতিটি পরিবারেই চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন প্রত্যেকটি পরিবার।

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন জানান, এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো ইউনিয়নবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। নিহতদের মরদেহ দেশে আনতে পরিবারের সদস্যরা আবেদন জানাচ্ছে।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ হাসান হাবীব জানান, নিহতদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়েছি। মরদেহগুলো দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।