স্টাফ রিপোর্ট রাজবাড়ী টুডে : রাজবাড়ী সাব-রেজিস্ট্রটার অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী ও দলিল লেখকদের যোগসাজশে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অনিম ও দুর্নীতির অভিযোগ মাঝে মধ্যই পাওয়া যায়। এমন অভিযোগর বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রটার বলেছেন সরকারী নির্ধারিত ফির থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেলে সে হোক মহুরী বা অফিসের কেউ তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সরকারি নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন রাজবাড়ীতে চলছিলো জমি রেজিস্ট্রির বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। এমন খবর ছিলো রাজবাড়ীবাসীর মুখে মুখে। এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে আলোচনার এক বিষয় হয়ে দাড়িয়ে ছিলো। তবু যেন ছিলো না প্রতিবাদ করার মত কেউ।
তবে অভিযোগ রয়েছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এর সহকারী গুরু দাস বিরুদ্ধে: একাধীক দলিল লেখক বলেন, অফিস সহকারী গুরু দাস বলেছেন প্রতি দলিলে ১% হারে টাকা দিতে হবে তা না হলে দলিল হবে না। তাই আমরা বাধ্য হয়েই একপ্রকার সরকারী নিয়মের বাইরে কিছু টাকা নিয়ে থাকি। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে যদি কাউকে কোন টাকা না দিতে হয় তাহলে আমরাও কারো কাছ থেকে সরকারী ফি-র বাইরে কোন টাকা নিব না।
দলিল লেখক ও ষ্ট্যাম্প ভেন্ডারদের প্রতিনিধি নাসিমূল হক রনি, রেজাউল ইসলাম মিন্টু সহ আরও অনেকের কাছে অতিরিক্ত ফিনেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান যে, আমরা গ্রাহকের কাছ থেকে ইউনিয়নের জমি হলে সরকারি ফিস বাবদ ৯‰ এবং পৌর এলাকার জমি হলে ১১ % এর বেশি টাকা নেওয়া হয় না। তবে অতিতে যারা এই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম কে নিয়ম করে রেখেছিল তারা এখন আর সেই আগের মত অনিয়ম করতে পারছেন না।সে কারনেই তারা আমাদের নামে বিভিন্ন স্থানে সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
তবে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই বলেই দাবি করে রাজবাড়ী সদরে অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা সাব-রেজিস্ট্রার লুৎফর নাহার বলেন, অতিরিক্ত টাকা কে নেই কে কাকে দেয় সেটা আমার জানা নেই। সরকারী নিয়মের বাইরে যদি কোন দলিল লেখক ও বা আমার অফিসের কেউ সাধারণ জনগণের কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে থাকে সে বিষয়ে অভিযোগ পেলে সেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।