ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ: একজন ড্রাইভারের চোখে

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ৬৩ ভিউয়ের সময়

রাজবাড়ী টুডে ডেস্ক: বাংলাদেশে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনার জন্যে চালকদের অতিরিক্ত পরিশ্রমজনিত ঘুমকে দায়ী করেছেন একজন বাস চালক।
উত্তরবঙ্গের ড্রাইভার রশীদ সর্দার ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাসড়কে বাস চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করার কারণে ড্রাইভাররা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
সর্বক্ষণ চালকের কাছে থাকা ইঞ্জিনের গরম হাওয়া এবং বাইরের ও আশেপাশের শব্দের কারণেও চালকরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, “সারা রাত ডিউটি করার পর আমাদেরকে পরদিন সকালে আবার গাড়ি চাতে হয়।”
“একটা লোক কিভাবে ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চালাতে পারে? এক সেকেন্ডের জন্যে চোখ বন্ধ হলেওতো অবস্থা খারাপ!” বলেন তিনি।
তিনি জানান, এরকম অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ঘুমে ঢলে গিয়ে তিনি নিজেও একবার দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
তার মতে চালকের ডিউটি যদি সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা করে দেওয়া হয় তাহলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
এবারের ঈদের সময় আগেপিছে এক সপ্তাহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণায় বলা হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার জন্যে পরিশ্রমের পাশাপাশি রাস্তা ঘাটের বাঁককেও দায়ী করেছেন ড্রাইভার রশীদ। বলেছেন, এসব বাঁকে ওভারটেক করতে গিয়েও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
রাস্তার ত্রুটির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, অনেক জায়গাতেই রাস্তার ওপর বেশি পিচ ঢালা হয়েছে। ফলে ব্রেক করলেও গাড়ি পিছলে সামনের দিকে চলতে থাকে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা বাসে বাংলাদেশে তৈরি ‘দুই নম্বর’ যন্ত্রপাতি লাগানোর কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
“সঠিক টায়ার ব্যবহার না করার কারণে চাকা ফেটে গিয়েও দুর্ঘটনা হয়,” বলেন তিনি।
অতিরিক্ত জোরে গাড়ি চালানো, যখন তখন ওভারটেক করা, প্রশিক্ষণ না থাকা, আইন কানুন না মানা – এসব কতোটা দায়ী জানতে চাইলে চালক রশীদ সরদার বলেন, “আমি আইন জানলেও দেখা গেছে অটোবাইক বা সিএনজি চালক বা রিকশাওয়ালা নিয়ম জানে না। একজনের দোষেও আরেকজনের দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্যে আরেকটি কারণ যখন তখন ওভারটেক করা।
“ওভারটেক করার কারণে ওই গাড়ি হয়তো বেঁচে গেলো কিন্তু তখন একটা গাড়ি হয়তো আরেকটা গাড়িকে মেরে দিতে পারে।”
দেশে যথেষ্ট রাস্তাঘাট না থাকাও দুর্ঘটনার একটি কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেছেন, যতো লোকসংখ্যা আর যতো গাড়ি নেমেছে সেই তুলনায় রাস্তার সংখ্যা খুবই কম।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ: একজন ড্রাইভারের চোখে

আপডেটের সময় : ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রাজবাড়ী টুডে ডেস্ক: বাংলাদেশে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনার জন্যে চালকদের অতিরিক্ত পরিশ্রমজনিত ঘুমকে দায়ী করেছেন একজন বাস চালক।
উত্তরবঙ্গের ড্রাইভার রশীদ সর্দার ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাসড়কে বাস চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করার কারণে ড্রাইভাররা খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
সর্বক্ষণ চালকের কাছে থাকা ইঞ্জিনের গরম হাওয়া এবং বাইরের ও আশেপাশের শব্দের কারণেও চালকরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, “সারা রাত ডিউটি করার পর আমাদেরকে পরদিন সকালে আবার গাড়ি চাতে হয়।”
“একটা লোক কিভাবে ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চালাতে পারে? এক সেকেন্ডের জন্যে চোখ বন্ধ হলেওতো অবস্থা খারাপ!” বলেন তিনি।
তিনি জানান, এরকম অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ঘুমে ঢলে গিয়ে তিনি নিজেও একবার দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলেন।
তার মতে চালকের ডিউটি যদি সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা করে দেওয়া হয় তাহলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
এবারের ঈদের সময় আগেপিছে এক সপ্তাহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারি গবেষণায় বলা হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার জন্যে পরিশ্রমের পাশাপাশি রাস্তা ঘাটের বাঁককেও দায়ী করেছেন ড্রাইভার রশীদ। বলেছেন, এসব বাঁকে ওভারটেক করতে গিয়েও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
রাস্তার ত্রুটির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, অনেক জায়গাতেই রাস্তার ওপর বেশি পিচ ঢালা হয়েছে। ফলে ব্রেক করলেও গাড়ি পিছলে সামনের দিকে চলতে থাকে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা বাসে বাংলাদেশে তৈরি ‘দুই নম্বর’ যন্ত্রপাতি লাগানোর কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
“সঠিক টায়ার ব্যবহার না করার কারণে চাকা ফেটে গিয়েও দুর্ঘটনা হয়,” বলেন তিনি।
অতিরিক্ত জোরে গাড়ি চালানো, যখন তখন ওভারটেক করা, প্রশিক্ষণ না থাকা, আইন কানুন না মানা – এসব কতোটা দায়ী জানতে চাইলে চালক রশীদ সরদার বলেন, “আমি আইন জানলেও দেখা গেছে অটোবাইক বা সিএনজি চালক বা রিকশাওয়ালা নিয়ম জানে না। একজনের দোষেও আরেকজনের দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্যে আরেকটি কারণ যখন তখন ওভারটেক করা।
“ওভারটেক করার কারণে ওই গাড়ি হয়তো বেঁচে গেলো কিন্তু তখন একটা গাড়ি হয়তো আরেকটা গাড়িকে মেরে দিতে পারে।”
দেশে যথেষ্ট রাস্তাঘাট না থাকাও দুর্ঘটনার একটি কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেছেন, যতো লোকসংখ্যা আর যতো গাড়ি নেমেছে সেই তুলনায় রাস্তার সংখ্যা খুবই কম।
সূত্র: বিবিসি বাংলা