দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী টুডে: ষড়ঋতুর বাংলাদেশ। কিন্তু বালিয়াকান্দির কৃষকদের কাছে তিনটি ঋতু হয়ে দাড়িয়েছে। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত। জৈষ্ঠ-আষাঢ়-শ্রাবন-ভাদ্র মাসে বেশির ভাগ এলাকায় অথৈ পানি, আর্ষিন-কার্তিক-অগ্রহায়ন-পৌষ আর মাঘে হেমন্ত আর শীতের কাপুনীতে ব্যস্ত কৃষকেরা ফাল্গুন-চৈত্র-বৈশাখের গ্রীষ্মের দাবদাহ। বর্ষা মৌসুমে বালিয়াকান্দির ১৬০০০ হাজার হেষ্টর কৃষির জমির বেশিরভাগ বর্ষার পানিতেডুবে থাকে। এরই মধ্যে বর্ষা অতিবাহিত। সেই অথৈ পানিতে ডুবে থাকা জমি শুকিয়ে রূপনিচ্ছে চাষযোগ্য জমিতে। স্বপ্ন বুনতে শুরু করছে বালিয়াকান্দির কৃষকেরা। এরই মাঝে শুরুহয়ে গেছে কৃষকের ব্যস্ততা। যারা বর্ষায় নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করে সংসারের খরচ বহনকরেছেন তারা এখন বাংলার কৃষক।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বালিয়কান্দি উপজেলার হাতিমোহন, মাশালিয়া, চাপাদা, শৈলেরবিল, ডাবরার বিল, ছগুরের বাওর, গদার গাড়া, চত্রার বিলের বিস্তর এলাকা চার মাস পানিতেনিন্মজিত থাকে। খাল আর বিস্তর মাঠ পানিতে একাকার হয়ে রূপ নেয় বিস্তর বিলে। এই সময়েজাল-দড়ি নিয়ে বালিয়াকান্দির কৃষকেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।জল শুকানোর সাথে সাথেই জাল গুছিয়ে আবার পুরো কৃষক হয়ে পড়ে বালিয়াকান্দির এই শ্রবাজীবি মানুষেরা।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গুপ্তলক্ষনদীয়া গ্রামের রিজ্জিক শেখ বলেন, আমরা বর্ষায় মাছ ধরি জীবন চালাই, শুকনায় খেতে জমি চাষ করি। এই কারনেই মানুষ আমাদের বলে বর্ষায় আমরা জেলে, শুনকনায় কৃষক।
জঙ্গল ইউনিয়নের অজিত বিশ্বাস বলেন, আমাদের বছরে দুইটা ঋতু বর্ষা আর গ্রীষ্ম। তিনিবলেন আমরা বর্ষায় মাছ ধরি, শুনকায় জমি চাষ করি, এই কারনেই আমাদের জীবন থেমে থাকে না।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বালিয়াকান্দি সত্যি বিধাতার হাতে গড়া একটি কৃষি প্রধান উপজেলা। এখানে চাষ মাস বর্ষা কাল থাকলেও বাকি আট মাসে কৃষকেরা একই জমিতে চার বার ফসল ফলায় বালিয়াকান্দির কৃষকেরা।
বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের এই কৃষি প্রধান উপজেলার অনেক শ্রবজীবি মানুষ বর্ষায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে অন্যসময় এরা কৃষক।