বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, তাঁরা নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) দুই জঙ্গি। তাঁরা শেরপুরে জঙ্গি হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক শাখার কমান্ডার খালেদ হাসান ওরফে বদর মামা (৩০)। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার হামিদপুর গ্রামে। বাবার নাম মো. এনামুল হক। আরেকজনের নাম রিপন (২৮)। বাড়ি রাজশাহীতে।
পুলিশ বলছে, খালেদ দিনাজপুরে মন্দিরে হামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামি। রিপন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, চারটি গুলি, গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় দিকে উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নলুয়াপাড়া সড়ক মোড়ের পশ্চিম পাশে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফানের ভাষ্য, জেএমবির সদস্যরা বিশালপুর ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থান করছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেএমবির সদস্যরা গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে দুজন জঙ্গি আহত হয়। অভিযান চলাকালে আরও কয়েকজন জেএমবি সদস্য ছিলেন। তাঁরা পালিয়ে যান।
বগুড়া সহকারী পুলিশ সুপার গাজীউর রহমানের ভাষ্য, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুরুতর আহত দুই জঙ্গিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন বাবুল আকতার ও আবদুল মোতালেব। তাঁরা বগুড়ার পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গাজীউর রহমান বলেন, নিহত জঙ্গি খালেদ হাসান দিনাজপুরে দুই মন্দিরে হামলা ও ইতালীয় নাগরিককে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। আর রিপন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার আসামি।