শিশু পার্কে অশ্লীল নৃত্য ও নিষিদ্ধ পল্লীর আমেজ, প্রতিবাদে সোচ্চার, সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড়
রাজবাড়ী প্রতিনিধি: অশ্লীল নৃত্য ও নিষিদ্ধ পল্লীর আমেজে পালিত হয়েছে ফুচকা উৎসব।ঈদের ৫ম দিনে শিশুদের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র পৌর শিশু পার্কে ফুসকা উৎসব ও মিলন মেলার নামে অশ্লীল ভাবে নাচানো হয় দুজন নর্তকী।যা ফেসবুক লাইভেও দেখানো হয়।মুহুর্তের মধ্যে যা ভাইরাল হয়ে যায়।
ফুচকা উৎসবের নামে এমন অশ্লীল নৃত্য ও নিষিদ্ধ পল্লীর আমেজ সৃষ্টি করায় সামাজিক মাধ্যমে,প্রতিবাদে সোচ্চার, হয়ে উঠেছেন রাজবাড়ীর সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিন্দার ঝড় উঠেছে।
যেসব কুরুচি সম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে, তাদের শাস্তি দাবি করে একের পর এক ফেসুবকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত শুক্রবার ১৫ জুলাই বিকালে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাজবাড়ী পৌর শিশু পার্কে এ ফুসকা উৎসবের আয়োজন করে খাদক বাঙ্গালী নামক একটি অনলাইন ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে, বিভিন্ন আইডি থেকে অশ্লীল নাচের ভিডিও শেয়ার করেছেন অনেকেই। ভিডিওতে দেখা যায়, ২টি মেয়ে অশ্লীল ভাবে নৃত্য করছেন। নাচের তালে তালে অনুষ্ঠানের আয়োজক মিশকাত সহ একাধিক ব্যক্তি নাচ করছেন এবং নাচের মাঝে টাকা ছুড়ে দিচ্ছেন। এমন অশ্লীল নাচ দেখে অনেকেই নিষিদ্ধ পল্লী ও যাত্রা পালার নাচের সাথেও তুলনা করেছেন।ভিডিও প্রকাশ পাবার পরেই ফুসে উঠেছে রাজবাড়ীবাসী।খাদক বাঙ্গালী গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন ভিত্তিক ‘খাদক বাঙ্গালী’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের ১ হাজার মেম্বার রয়েছে। এ অনুষ্ঠানে প্রায় ৬৫০ জন ব্যক্তি টিকিট ক্রয় করেন। এ অনুষ্ঠানের এন্টি ফি ছিল ২৫০ টাকা।
সেই হিসেবে ৬৫০জনের নিকট থেকে ১লক্ষ ৬২ হাজার ৫০০ টাকার টিকিট বিক্রয় করেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ফেসবুক গ্রুপ’ একাউন্ড খুলে গত ১৯শে জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করেন ‘খাদক বাঙ্গালী’ ফেসবুক গ্রুপ। যদিও ফুট ব্যাংক রাজবাড়ীর এডমিন বলেছেন ৮শত টিকিট বিক্রি হয়েছে, সেই হিসেব আসে ২লাখ টাকা।
এ মিলন ফুসকা উৎসব ও মেলা টিকিট অংশগ্রহনকারীরা সংগ্রহ করেন, রাজবাড়ী শিশু পার্ক, রেলওয়ে ষ্টেশনের আপ্যায়ন রেষ্টুরেন্ট ও গোয়ালন্দের মিশকাত থাই এ্যালুমিনিয়াম থেকে। অনুষ্ঠানের টিকিট ক্রয়কৃতদের পার্কের প্রবেশ ফি, টি শার্ট, দুপুরের ১৫ আইটেমের খাবার, আনলিমিটেড ফুসকা দেওযার কথা। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই ফুসকা উৎসবে অংশগ্রহনকারী ও সাধারণ মানুষ এমন অশ্লীল নাচ পরিবেশন কারীদের গ্রেফতার দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের আইতে লেখা প্রতিবাদ গুলো হুবুহু তুলে ধরা হলো।
•
অন্নন্য ফেরদৌস নামে (Ononna Ferdus) একজন অংসগ্রহণকারী আডিতে লিখেছেন, ফুচকা উৎসব বললে ভুল হবে। শিশুপার্কে গিয়ে যাত্রাপালার মতো ফিল হচ্ছিলো। অশালীন নাচ গানে ভরপুর ছিলো। দুপুরের জঘন্য খাবারের কথা বাদই দিলাম। ৩ টায় ফুচকা ফেস্ট শুরু করার কথা থাকলেও ৫ টা পর্যন্ত তারা নাচ গানেই মজে ছিলো। অবশেষে বিরক্ত হয়ে ফিরে আসছি। ২৫০ টাকার পুরোটাই লস। না খাবার, না পরিবেশ, না ব্যবহার। শুরুতে বলা হয়েছিলো সবগুলো রাইডই ফ্রি। পরে গিয়ে দেখি সবগুলাতেই টাকা নিচ্ছে। ওই ভরদুপুরে একটা বসার জায়গার পর্যন্ত ব্যবস্থা করে নাই। নেহায়েত বান্ধুবীর পাল্লায় পড়ে গেছিলাম। নাহলে এসব নোংরা প্রোগ্রামে কোনো স্বাভাবিক রুচির মানুষ যেতে পারবে না।
বি.দ্র. যারা যান নাই বা যেতে পারেন নাই তারা শুকরিয়া আদায় করেন। অন্তত ওই গরম আর নোংরা নাচগানে ভরপুর অশ্লীল বিনোদন দেখা থেকে রেহাই পেয়েছেন। এবং ওই টাকাটা ভালো কোথাও গিয়ে খরচ করতে পারবেন।
মাহাবুব শেখ (Mahabub Sheikh) রাজবাড়ী ফুসকা উৎসব, আয়োজনে খাদক বাঙালি, এরা গোয়ালন্দের নিষিদ্ধপল্লী বানানোর ধান্দায় আছে কী রুচি এদের ভাবা যায়? ২৫০ টাকা করে এন্ট্রি ফি নিয়েছে না ছিলো স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং না ছিলো এই ভরদুপুরে বসার মত কোনো জায়গা। আর বিকেলে তো নিষিদ্ধপল্লী থেকে ভাড়া করে আনা মেয়েদের অশালীন নাচ।
একটা বার তো ভাবা উচিৎ ছিলো যে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়ে যাবে, বাবা-মা সহ কতজন গেছে।
২৫০ টা টাকা করে নিয়ে এসব করে উৎসব করেন আপনারা? এগুলো কোনো রুচিসম্মত অনুষ্টান হইলো? যারা নাচানাচি করছে তাদের মধ্যে রুচি বলতে কোনো জিনিসই নাই সব ফটকা পোলাপাইন গেছে। এর যেনো সুষ্ঠু একটা বিচার হয় এবং পরবর্তীতে এদের মত গোয়ালন্দের ঝোপঝাড় থেকে উঠে আসা চিকনি চামেলিরা শহরের মধ্যে এসে এমন অশালীন পরিবেশ তৈরি করতে না পারে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এমন ইভেন্ট এর আগে দশবার ভাববেন, নাইলে ইট-পাটকেল রাস্তার পাশে বহুত আছে অভাব হবেনা।
সিরাজুল ইসলাম সাইয়াম (Sirajul Islam Siyam) মাত্র ২৫০ টাকায় এমন বিনোদন,ভালো কোন রিসোর্ট বা পার্কে গেলে সেইম মজা নিতে জন প্রতি ২০০০+ লাগতো।আপনাদের তো খুশি থাকার কথা। কিছু প্রশ্ন থেকে যায়!.. আপনারা যারা এখন সমালোচনা করছেন তাদের কি উচিৎ ছিলো না এই প্রোগ্রামে বাধা দেওয়া? সেখানে অনেকই পরিবার সহ গিয়েছিলো,আপনারা তখন বাধা না দিয়ে বাহা বাহ্ দিয়েছেন আর মজা নিয়েছেন,তখন কেউ প্রতিবাদ করেন নাই কেন? এখন কেন আপনারা সোশাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ এবং সমালোচনার ঝড় তুলছেন? তখন কি প্রতিবাদ করার মতো কোন যুবক ছিলো না? এখন সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে নিজেদের কি বোঝাতে চাচ্ছেন? বিঃদ্রঃ যারা আজকে শিশু পার্কে ফুসকা আয়োজনের নামে যে বেহায়াপানা করছে তাদের কিন্তু আমি চিনি না। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,ধন্যবাদ।*
মিস পলি খাতুন (Mst Poly Khatun) লিখেছেন,
•
আসসালামুআলাইকুম, আজকে গিয়েছিলাম ফুসকা উৎসবে, প্রথমে বলি এটার নাম ফুসকা উৎসব না দিয়ে ধান্দা মারা উৎসব নাম দিলে ঠিক হতো।আমি যাবোই না শুধুমাত্র ছোট বোনদের কথায় গিয়েছিলাম আজাইরা ১৫০০ টাকা লচ করেছি, নোংরামি বিয়াদবি ছাড়া কিছুই ছিলো না, কোনো কিছুর কোনো শৃঙ্খল ছিলো না, টিকিট কাটার সময় ওনারা বলেছিলেন রাজবাড়ীর ডিসি ওসি স্যাররাও এর সাথে যুক্ত আছে ওনারাও টিকিট কেটেছে সেটা শুনে ভেবেছিলাম তাহলে মনে হয় খুব সুন্দর একটা আয়োজন হবে পরে দেখি ওমা, মনে হচছিলো ভিক্ষা করতে গেছি, যারা আয়োজন করেছেন তারা কোনো ভদ্রতা সভ্যতা জানেনা, কোনো শৃঙ্খলতা জানে না একটা প্রোগ্রাম আয়োজন কিভাবে সুন্দর ভাবে করতে হয় কিছুই জানেনা, তাদের ব্যবহার দেখে মনে হয়েছে তারা অশিক্ষিত বর্বর, সামাজিকতা কি তারা সেটা জানেনা, পরবর্তীতে এ ধরনের ফাজলামো মার্কা অনুষ্ঠানের আয়োজন আমরা আর দেখতে চাই না, হুদাই এতোগুলো টিকিট কেটে এতোগুলো টাকা নষ্ট করলাম।
আনিসকা বিন পিঞ্জে (Aniska Bin Pinje) লিখেছেন,
• •
আজকে গিয়েছিলাম শিশু পার্কে ফুচকা উৎসবে গিয়ে আমার কাছে ঐটা কে উৎসব নয় বরং মনে হলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প যত্তসব ফালতু নোংরা পরিবেশ ১১:০০ টায় উৎসব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও লোকজন নামাজের পর ভির জমায় একবার ভিতরে যাওয়ার পর বের হলে বারতি ২০৳ দিয়ে ভিতরে যেতে হবে ।আরে ভাই এমনিই এত টাকা বাশ দিছিস আবার ২০৳ চাস তোরা কি আদেও sense এ ছিলি কপাল ভালো তাই মাইর খাস নাই। যারা উৎসব আয়োজন করেছেন তারা যে আজ পাবলিকের হাতে মার খায়নি এটা তাদের ভাগ্য কমন ছেন্স বলে একটা কথা আছে তারা May be জানে না ভর দুপুরে রোদের মধ্যে পাবলিকের বসার কোনো ব্যবস্থা করে নাই। যে পরিমাণ টাকা উঠছে তার ফিফটি পার্সেন্ট আয়োজকদের পকেটে ঢুকছে।
রোদের মধ্যে সবাই বসার জায়গা খুজতেই ব্যাস্ত আনন্দ করা তো দূরের কথা ১২৫০ টাকা খরচ করে ৫ জনের টিকিট কেটে পুরো দুপুর রোদে থেকে আনন্দ না করে বরং অসুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছি। ২ টার পর দুপুরে খাবার দেওয়া তো নয় মনে হলো ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে । কে কার আগে নিবে মারামারি প্রায় অবস্থা কোনো সিরিয়াল maintain করে খাবার দেওয়া হয় নাই ভির ঠেলে পানি খিচুড়ি আর মোজো কোনো মতো নিয়ে খাবার খুলে দেখি রোস্ট দিছে কিন্তু সাথে গোস নেই শুধু হার। ভর্তা তো ভয়ে নিতেই যাই নাই যে ভির ছিল আল্লাহ্ বাসায় যে আনছে তাই অনেক শুকরিয়া । খাবার মুখে না দিয়ে তিন প্যাকেট ফেলে দিলাম নস্ট জিনিস তো কাউকে দেওয়া যায় না এক প্যাকেট খুলছিলামই না ৫ টা টিকিটের মধ্যে একটা বান্ধবী না যাওয়ায় বের হয়ে এক রিকশা ওয়ালা দাদুকে দেখে দিয়ে বললাম খাবার আর বাকি জিনিস তাকে নিতে unlimited ফুচকার কথা বলে ৫ টার পর ফুচকা দিছে ওত ধৈর্য্য ছিল না বাজে নাচ আর পরিবেশ দেখে ৩ টায় বের হয়ে বাসায় চলে আসছি। আর যে টি- শার্ট দিছে ঐটা দিয়ে ঘর মোছাও যাবে না । কালার দেখে আমি শিহরিত । সবশেষে এটাই বলবো টাকা গুলো জলে গেল আর যা আপ্যায়ন করছে next time এমন উৎসবের কথা বললে আয়োজকেরা মাইর খাবে। হাতে ভাজা ফুচকা দেওয়ার কথা বলে যে ফুচকা খাওয়া যায় না গালের ১২ টা বাজে ছুলে যায় সেই ফুচকা দিছে ৫০০ লোক যদি ২ টা করে ফুচকাও খায় তাহলে লাগবে ১০০০ পিছ আর উনারা যা ফুচকা আনছে দেখলাম তাতে ১ জন ১ টা করে তো দূর ভেঙ্গে খেলেও সবাই পাবে না। আর যে কাহিনি করছে মানুষ ফুচকা দেওয়ার আগেই বাড়ি চলে গিছে। আর যারা ছিল তারা মনে হয় না ২/৩ টার বেশি কেউ খাইছে। অশ্লীলতা দিয়ে ভরপুর আর টাকা মারছে কাজের কাজ কিছুই না। সবাই সাবধান এইসব ফাদে আর পা দিবেন না আয়োজকেরা এই পোস্টটি দেখে আশা করি পরবর্তীকালে কোনো কিছু আয়োজন করার পূর্বে সবদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করবেন।
সোহেল রানা Sohel Rana লিখেছেন, রাজবাড়ীর প্রশাসনের বিনয়ের সঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, রাজবাড়ী শিশু পার্কের মধ্যে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনা কারি স্মৃতি ইসলামকে আইনের আওতায় আনা হোক তা না হলে জনগণ কে থামিয়ে রাখতে পারবেন না।এমন হাজারও মানুষ তাদের নিজ নিজ আইডিতে ফুসকা উৎসবের নামে যাত্রা পালার করার প্রতিবাদ জানিছেন।
মিলন মেলা ও ফুসকা উৎসবের আয়োজক অনলাইন ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ খাদক বাঙ্গালীর এডমিন ও গোয়ালন্দের মো. মিশকাত মৃধা বলেন, অনলাইন ভিত্তিক ‘খাদক বাঙ্গালী’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের ১ হাজার মেম্বার রয়েছে।ফুসকা উৎসবে ৬৫০ জন ব্যক্তি টিকিট ক্রয় করেছিলেন। রাজবাড়ী শিশু পার্কে বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। একটি ব্যান্ড গ্রুপের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছিল। পরে তারা চুক্তি বাতিল করে।যে কারনে তাৎক্ষণিক ভাবে ফরিদপুর থেকে ২জন মেয়ে মডেলকে ৩হাজার টাকায় ভাড়া আনা হয়।পরে তারা অনুষ্ঠান শুরুতে নাচ শুরু করে।কিন্ত পরে একমন সময় অশ্লীল নৃত্যের কারনে তা বন্ধ করা হয়।আমি জানি এতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।ব্যবস্থাপনা ভুলের কারণে একটু এলোমেলা হয়েছে।আমি ফুট ব্যাংক রাজবাড়ী গ্রুফে এসে রাজবাড়ী জেলা বাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছি।
সুত্র মত্রে জানা গেছে খাদক বাঙ্গালী গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা সোনিয়া আক্তার স্মৃতি ইসলাম তিনি গত এক মাস আগে থেকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করে, বিভিন্ন পোষ্ট করে সাধারণ মানুষকে ফুসকা উৎসবে অংশগ্রহন করার জন্য আকৃষ্ট করে।অনেকই নাম প্রকাশে অনছুক অনেক অংশগ্রহনকারীই বলেছেন স্মৃতি ইসলামের আহ্বানেই আমরা টিকিট ক্রয় করেছি।কিন্ত আমরা জানতাম না সে খানে এমন অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করা হবে।তবে আমাদের সাথে খাদক বাঙ্গালী এক প্রকার প্রচারনা করেছেন।তবে অশ্লীল নৃত্য বা ফুসকা উৎসবের সকল ভিডিও ও ফেসুবক পোষ্ট গুলো তিনি ডিলিট করে দিয়েছেন।
সোনিয়া আক্তার স্মৃতি ইসলাম খাদক বাঙ্গালির সাথে জড়িত কিনা এবিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধীক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
মোঃ মিশকাত মৃধা ফুড ব্যাংক ফেসবুক গ্রুপে একটি পোষ্টে লিখেছেন আসসালামু আলাইকুম প্রিয় রাজবাড়ীবাসী, আমি মিশকাত মৃধা, খাদক বাঙ্গালী গ্রুপ! আজ ছিলো আমাদের খাদক বাঙ্গালী গ্রুপ এর মিলন মেলা ও ফুচকা উৎসব সব কিছু ঠিক ঠাক ছিলো, সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে আয়োজনে আমাদের ভুল ছিলো, সেখানে যে নৃত্য ছিলো সেটা ই পরিবেশের সাথে যায় না, ঘটনা চক্র হয়ে গেছে, সেই কারনে আমি রাজবাড়ী জেলা বাসির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আশা করছি সবাই আমার এ আয়োজন কে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। বিদ্রঃ আমাদের ফুচকা উৎসব এ কোন ভাবে ফুড ব্যাংক রাজবাড়ী জরিত ছিলোনা।তিনি আরো বলেন এবিষয়ে যে আর কোন সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ শাহাদত হোসেন বলেন, শিশু পার্কে যে ঘটনা হয়েছে সত্যি এমন ঘটনা কারোই কাম্য নয়।যারা আয়োজক ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে যদি কেউ অভিযোগ দেয় তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রাহন করা হবে।
রাজবাড়ী গো্য়েন্দা শাখার বিআইওয়ান মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীর শিশু পার্কে এমন অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করা হয়ে যা অত্যান্ত দুঃখজনক।আমরা এবিষয়ে খোজ নিচ্ছি কারা এমন আয়োজন করলো।তাদের পূর্ব কোন অনুমতি আছে কি না।
রাজবাড়ী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি।শিশু পার্কের ইজারাদারের সাথে ব্যক্তির সাথে কথা হয়েছে। শিশু পার্কের মধ্যে এমন অনুষ্ঠান সত্যি দুঃখজনক। আয়োজন করার জন্য কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে যে কেউ সামাজিক যে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে।তবে বিকেল ৫টার পর থেকে পিকনিক বা কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না।