খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী টুডে : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘আদর্শ বাড়তি খাবার’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিমের ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে রাজবাড়ীর পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আট হাজার শিশুর মধ্যে শিশুখাদ্য বিতরণ করবেন তিনি। তার এমন ব্যাতিক্রম উদ্যোগে খুশি ৩টি উজেলার মানুষ। তাইতো সাধারণ ,সানুষের কাছে ইতো মধ্যে সুপার সুপার হিরো বনে গেছেন এমপি পুত্র মিতুল।
১৮ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পাংশা ডাকবাংলো চত্ত্বর থেকে ভ্যানগাড়ি যোগে পাংশা পৌর এলাকার এক হাজার বাড়িতে শিশুখাদ্য পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ‘আদর্শ বাড়তি খাবার’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এমপিপুত্র মিতুল।
কালুখালি উপপজেরার বাসিন্দা মোঃ আনোয়ার মিয়া সহ একাধীক সাধারণ মানুষ বলেন, এমপির ছেলে মিতুল হাকিম যে ভাবে আমাদের এলাকার মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।শিধু তাই নয় তিনি ৬মাস থেকে ২বছর শিশুদের জন্য শিশু খাবারের দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন তাতে আমরা পাংশা কালখালি উপজেরার মানুষ খুবই খুশি তাই আমরা অনেকই মিতুল ভাইকে ভালোবেসে সুপার হিরো বলে থাকি।
এ সময় পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শ ডা. মো. তৈয়বুর রহমান, পাংশা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিপক কুন্ডু, পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তরুণ কুমার বিশ্বাস, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নিপা নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
‘আদর্শ বাড়তি খাবার’ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এমপিপুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল বলেন, ‘ছয় মাস বয়স থেকে দুই বছরের শিশুদের মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয়।
করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবে প্রতিটি শিশু যাতে সুরক্ষিত থাকে, তাদের যেন কোন পুষ্টির ঘাটতি না হয় এই কারণে আমি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের মধ্যে পুষ্টিকর শিশুখাদ্য বিতরণ করছি।’
তিনি বলেন, ‘শিশুখাদ্যের মধ্যে রয়েছে- মিষ্টি কুমড়া, সুজি, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, চিনি ও রসুন। এগুলো পর্যায়ক্রমে পাংশা উপজেলায় পাঁচ হাজার এবং বালিয়াকান্দি ও কালুখালীতে ৩ হাজার মিলিয়ে সর্বমোট আট হাজার শিশুর মধ্যে বিতরণ করা হবে।’
পাংশা উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শ ডা. মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আশিক মাহমুদ মিতুল শিশুদের মধ্যে যেসকল খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন তা আমি পরীক্ষা করে দেখেছি। সর্বাত্মক গুণগত মান বজায় রেখে তিনি খাদ্য সামগ্রীগুলো বিতরণ করছেন। এই খাদ্য খেয়ে শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে এবং তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকেই পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে চিকিৎসা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন এমপিপুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল। তারই ধারাবাহিকতায় এবার হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘আদর্শ বাড়তি খাবার’ কর্মসূচি চালু করলেন তিনি।