খন্দকার রবিউল ইসলামঃ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শিক্ষক কর্তৃক দুই ছাত্রীর যৌন হয়রানি ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
রাজবাড়ীতে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে নিজ স্কুলের শিক্ষক ধারা যৌন হয়রানির ঘটনায় বিচার না হওয়ায় রাজবাড়ীতে সচেতন মহলে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ জুলাই রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ এম এ খালেক, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী সহ বিভিন্ন কর্তকর্তারা।
তারা বলেন পিটিআই এর পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব ও বার্থা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসীম কুমার দাস কর্তৃক নিজ বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর যৌন হয়রানির বিচার হচ্ছে না কেন ? তারা এত বড় অন্যয় করে পার পেয়ে যায় কি ভাবে? শুধুমাত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উদাসীনতার কারণেই এই দুই শিক্ষক পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সভায় উপস্থিত রাজনীতিক নেতা ও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তাগণ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম করিমিকে ফোন করে পাওয়া যায় না।আমরা তো দুরের কথা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও ফোনে পান না বলে অভিযোগ করেছেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, প্রথম সুর্যনগর স্কুলের যৌন হয়রানির ঘটনায় যদি হাবিবুর রহমান হাবিবের বিচার হতো তাহলে বার্থা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসীম কুমার দাস এমন ঘটনা ঘটাতো সাহস পেতো না। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ভবিষৎতে এমন ঘটনা আরো ঘটলে রাজবাড়ীতে যদি কোন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয় এর দায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেই নিতে হবে।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি ওসি মোঃ মোফজ্জেল সহবিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ বক্তব্য রাখেন।