রাজবাড়ী টুডে ডট কম, ঢাকা: আজ সোমবার শাহজালালে আমদানি চালানে ১৫ কেজি ওজনের একটি বিশেষ হেলদ কেয়ার রোবট আটক করা হয়েছে। একইসাথে গোয়েন্দা ডিভাইস ও নেটওয়ার্কিং সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে টয় ও কম্পিউটার সামগ্রী হিসেবে খালাসের চেষ্টাকালে এয়ারফ্রেইট ইউনিটের বাহির থেকে আটক হয়।
চালানটি কাস্টম হাউস, ঢাকার বিল অব এন্ট্রি নং 696999 তারিখ- 30/08/16 এর মাধ্যমে আমদানি শর্ত লংঘন করে খালাসের চেষ্টা করা হয়।
আমদানি নীতি অনুযায়ী রোবট মেডিক্যাল ডিভাইস হিসেবে ঔষধ প্রশাসনের এবং নেটওয়ার্কিং ডিভাইস বিটিআরসির অনুমোদন ব্যতিরেকে আমদানিযোগ্য নয়।
পণ্য চালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় গত ৮ সেপ্টেম্বর শাহজালালের এয়ারফ্রেইটের ১ নং গেট দিয়ে বের করার পর শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক পণ্য চালানটি সাময়িক আটক করা হয়। এতে ৩২৫ কেজির ২৪ টি কার্টন পাওয়া যায়। আজ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা করে এ ধরনের অনিয়ম উদঘাটন হয়।
পণ্য চালানটি ইনভেন্টরি করে ১টি রোবট, ১২০টি স্মার্ট ওয়াচ (সিম স্লট সংযুক্ত), ১০ টি মিনি ডিজিটাল ও ২৫ টি পেন ক্যামেরা (গোয়েন্দা ডিভাইস), ৬৩ টি ইথারনেট সুইস, ২৫ টি এন্টিনা, ১৯ টি বেজ স্টেশনসহ বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কিং সামগ্রী পাওয়া যায়।
রোবটের প্যাকেটে লেখা আছে ‘হেলদ কেয়ার রোবট’। এতে রিমোট কন্ট্রোলসহ ক্যামেরা ও মিউজিক বক্স সংযুক্ত করা আছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় এই রোবট উন্নত দেশে মেডিকেল সেবায় ব্যবহার হয়। তবে এর অপব্যবহার রোধে যে কোন মেডিকেল ডিভাইস আমদানির পূর্বে ঔষধ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতি অনুপস্থিত ছিল।
অন্যদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে আটক নেটওয়ার্কিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয় এবং এজন্য বিটিআরসির অনুমোদন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে তা পরিপালন করা হয়নি। এসব সামগ্রী ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য।
বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী আমদানিকারক হলেন শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, চট্টগ্রামের মেসার্স গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স। সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিলেন মেসার্স কুম ট্রেডার্স। চালানটি চীন হতে EY960 যোগে ঢাকায় অবতরন করে।
সরকারের পূর্ব অনুমোদন ব্যতিরেক ও প্রকৃত ঘোষণা না দিয়ে খালাসের চেষ্টা করায় শুল্ক আইন ভঙ্গ হওয়ায় এগুলো আটক করা হয়েছে। এখন শুল্ক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।