ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি খালেদার

রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বুধবার বিকালে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি পরিকল্পনা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে দল ও জোটের অবস্থান তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপু্ত্রের পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এর ফলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক মরুকরণ শুরু হয়েছে। এসময় দক্ষিণাঞ্চলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে। ফলে বাংলাদেশ আর বাসযোগ্য থাকবে না। এই দেশবিরোধী ও গণবিরোধী প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাই।

এই দাবিতে জনগণকে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়ের দাবি। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে জনস্বার্থ বা জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জায়গা অনেক আছে। তবে সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য বিকল্প বিদ্যুৎ ও বিকল্প জ্বালানির সন্ধান করার আহ্বান জানান তিনি।

জনমত উপেক্ষা করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ায় সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, সুন্দরবনের কাছের এই কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনিবার্য অশুভ ও মারাত্মক ক্ষতিকর। সব প্রমাণ উপস্থাপনের পরেও সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনে শুধু অস্বীকৃতি জানাচ্ছে না, বরং আরও দ্রুত এ গণবিরোধী দেশবিরোধী বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, এ সরকার স্বৈরাচারী বলেই জনমত বা দেশের স্বার্থ পরোয়া করে না।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে এবং পরিবেশ নষ্ট হবে, পানি দূষিত হবে। বনাঞ্চলের পশু পাখির জীবনচক্র ক্ষতির মধ্যে পড়বে।
ছবি: ডি এইচ বাদল

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি খালেদার

আপডেটের সময় : ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৬

রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বুধবার বিকালে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি পরিকল্পনা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে দল ও জোটের অবস্থান তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপু্ত্রের পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এর ফলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক মরুকরণ শুরু হয়েছে। এসময় দক্ষিণাঞ্চলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে। ফলে বাংলাদেশ আর বাসযোগ্য থাকবে না। এই দেশবিরোধী ও গণবিরোধী প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাই।

এই দাবিতে জনগণকে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়ের দাবি। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে জনস্বার্থ বা জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জায়গা অনেক আছে। তবে সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য বিকল্প বিদ্যুৎ ও বিকল্প জ্বালানির সন্ধান করার আহ্বান জানান তিনি।

জনমত উপেক্ষা করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ায় সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, সুন্দরবনের কাছের এই কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনিবার্য অশুভ ও মারাত্মক ক্ষতিকর। সব প্রমাণ উপস্থাপনের পরেও সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনে শুধু অস্বীকৃতি জানাচ্ছে না, বরং আরও দ্রুত এ গণবিরোধী দেশবিরোধী বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, এ সরকার স্বৈরাচারী বলেই জনমত বা দেশের স্বার্থ পরোয়া করে না।

খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে এবং পরিবেশ নষ্ট হবে, পানি দূষিত হবে। বনাঞ্চলের পশু পাখির জীবনচক্র ক্ষতির মধ্যে পড়বে।
ছবি: ডি এইচ বাদল