রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকালে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি পরিকল্পনা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে দল ও জোটের অবস্থান তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপু্ত্রের পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এর ফলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক মরুকরণ শুরু হয়েছে। এসময় দক্ষিণাঞ্চলে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে। ফলে বাংলাদেশ আর বাসযোগ্য থাকবে না। এই দেশবিরোধী ও গণবিরোধী প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাই।
এই দাবিতে জনগণকে সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি বলেন, জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়ের দাবি। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে জনস্বার্থ বা জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জায়গা অনেক আছে। তবে সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য বিকল্প বিদ্যুৎ ও বিকল্প জ্বালানির সন্ধান করার আহ্বান জানান তিনি।
জনমত উপেক্ষা করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে যাওয়ায় সরকারকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, সুন্দরবনের কাছের এই কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনিবার্য অশুভ ও মারাত্মক ক্ষতিকর। সব প্রমাণ উপস্থাপনের পরেও সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনে শুধু অস্বীকৃতি জানাচ্ছে না, বরং আরও দ্রুত এ গণবিরোধী দেশবিরোধী বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, এ সরকার স্বৈরাচারী বলেই জনমত বা দেশের স্বার্থ পরোয়া করে না।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, এ কেন্দ্র হলে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে এবং পরিবেশ নষ্ট হবে, পানি দূষিত হবে। বনাঞ্চলের পশু পাখির জীবনচক্র ক্ষতির মধ্যে পড়বে।
ছবি: ডি এইচ বাদল