স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডেঃ রাজবাড়ী হেল্প লাইন থেকে সদ্য অব্যবহতি পাওয়া এডমিন কবি নেহাল আহামেদ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও রাজবাড়ী হেল্প লাইনের কর্মকাণ্ড বিষয়ে জানতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ২৭এপ্রিল একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
তার লেখা হুবহু তুলে ধরা হলো। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি , কিছু প্রশ্ন ”
প্রায় বছর দেড় দুইয়ের মধ্যে রাজবাড়ী কেন্দ্রিক কিছু অনলাইন কার্যক্রম আমরা দেখেছি। রাজবাড়ীর ইতিহাসে, ভূগল, অর্থনীতি, সমাজ, ঐতিহ্য মূলত এসব নিয়েই কার্যক্রম গুলো পরিচালিত হচ্ছে ।ব্যাক্তিগত ভাবে পরিচয় সবার সাথে সম্ভব নয়। তবে তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের এসব কর্মকান্ড ইতি বাচক বলে আমরা ভাবতে চাই। এসব সংগঠনের মাঝে রাজবাড়ী হেল্প লাইন প্রথম থেকেই বেশ চোখে পড়ে ,রাজবাড়ীর ছেলে মেয়েরা কে কোথায় কিভাবে আছে দেশ বিদেশে সেই পরিচয় গুলো উঠে আসতে থাকে। মনে হতে থাকে অামরা একটি বড় পরিবার। ভালো লাগতে থাকে কার্যক্রমটি এর মধ্যে প্রত্যক্ষ সেবা মূলক কাজের আবেদন সবার নজরে এসেছে সেটাও বেশ সাড়া ফেলেছে দেশ বিদেশ রাজবাড়ী মানুষ জনের মধ্যে। রীতিমত এটা একটি স্বস্তির বিষয়। বিশেষত এই করোনা দূর্যোগে। হঠাৎ করে সম্প্রতি হেল্প লাইন সংগঠনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ার মতো এবং পরপর পোষ্ট পালটা পোষ্ট সেই সাথে বিভিন্ন কমেন্ট চোখে পরার মতো। আমরা উভয় পক্ষই রাজবাড়ীর সন্তান। পোষ্টটা পাবলিক এবং মানহানিকর অবশ্যই।
১। প্রশ্ন তাই এই ৪০/৫০ জন এডমিনের কোন তালিকা পেজে একসাথে আছে কি ?
যারাই থাকুন এক সাথে সিদ্ধান্ত নেন কি ? আমি যে জয়ন্ত দাসের সাথে আলাপ করে যুক্ত হতে চাই তাতে সকল এডমিনদের অনুমতি নেওয়া আছে কি ? যাকে খুশি এডমিন করতে পারেন কি ? আমি এই বয়স অবধি আমার পরিচয়ে রাজবাড়ী আছি। আমাকে এডমিন ভূক্ত করা ভূল হলে অন্য এডমিনদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আসে নয় কি ?
২। আমার সাথে হেল্প লাইনের এই স্বল্প সময়ে আনীত আর্থিক অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হতে হবে। যে ৩০০০০/= (ত্রিশ হাজার) টাকা জয়ন্ত দাস আমার কাছ থেকে নিয়েছে সেই তিন জন আমার ঘনিষ্ট তারা ব্যাক্তিগত ভাবে আগেথেকেই আমাকে চেনে। এর বাইরে কোন প্রমান আছে কি ? একজনের কমেন্ট প্রচার করা হয়েছে যে আমি টাকা চেয়েছি ব্যাক্তিগত ভাবে এটার কোন কথাবার্তার রেকর্ড আছে কি ? যে ২০০০০/= (বিশ হাজার) টাকা ইফতারের জন্য নেয়া হয়েছে তার প্রত্যেকটি ভাউচার জয়ন্ত দাসের কাছে জমা দেয়া আছে। তার ভিতরে কোথায় কয়টাকার অসংগতি তা সুনির্দিষ্ট করে প্রমান দিতে হবে।
৩। আমার প্রশ্ন এই রোজদারদের সেবা দুস্থ মানুষদের সেবা , অক্সিজেন সেবা এর জন্য কোথা থেকে কে কে কত টাকা তারা পেয়েছে তার হিসাব হেল্প লাইন পেজে দিয়েছেন কিনা ,কোন খাতে খরচের বাজেট আছে কিনা ? ১৫টি সিলিন্ডার ক্রয় কমিটির সদস্য কারা ? কয়টা কোটেশন বা ষ্পট কোটেশন আছে। এবং তার সকল এডমির দ্বারা অনুমদিত এই মুহুর্তে হেল্প লাইন দিতে পরবে কিনা ? এডমিন হিসাবে ঐ সময় আমারও স্বাক্ষর আছে কি না ?
৪। আমার বিরুদ্ধে আর যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তার সাথে নীতি মালায় কোথায় কোথায় দন্দ আছে আমার জানা থাকার কথা নয়। এডমিন করার সময় নীতিমালা আমাকে জানানো হয়েছে তার প্রমান আছে কি ? জ্ঞাত সারে হেল্প লাইনকে ভালোবেসে যোগ দিয়েছি। কদিনেই বুঝেছি আমার পরিচিত সার্কেল এবং আমার পরিশ্রম করার ক্ষমতা দুটোর বাইরে সার্বিক কাজ নিয়ে আমাকে অন্ধকারে রাখার প্রবণতা রয়েছে
। আমি চিরকালই প্রশ্ন করতে ভালোবাসি। হেল্প লাইনের আর্থিক সচ্ছতা দৃশ্যমান করার জন্য এবং কর্ম পরিকল্পনা সবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলা থেকে সমস্যার সূত্রপাত। রাজবাড়ীতে আমার পরিচিতির কারনেই বিভিন্ন মিডিয়া আমার সাক্ষাৎকার একাধিকবার নিয়েছে সেখানে সংগঠনের স্বার্থ বিরোধী কথা স্বজ্ঞানে বলিনি। এসব নিয়ে আমার ভূল ত্রæটি থাকলে তা উল্লেখ করে কারন দর্শানের চিঠি পেতে আমি অধিকারী ।আমার উত্তর সন্তোষ জনক নয়, এডমিনগন সমবেত সিদ্ধান্ত নিয়ে অামার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারতেন। আমার পরবর্তীতে কিছু করার থাকলে করতাম অথবা করতাম না। এখন প্রশ্ন, আসলে ৪০/৫০ জন এডমিনের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান চালায় কারা ।সেগুলো সবার কাছে পরিস্কার হওয়া দরকার। যে মানহানিকর বক্তব্য আমার বিরুদ্ধে এসেছে তার একটা দায়ভার অবশ্যই থাকা দরকার। সবার সাথে মিল হতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। একসাথে চলতেই হবে এমন কোন নিয়ম নেই। যা নিজেদের মধ্যেই কথাবার্তার মাধ্যমে মীমাংসা যোগ্য ছিল বা আমি রাজবাড়ী হেল্প লাইনের সাথে আর যুক্ত নই এই বিবৃতি যথেষ্ট ছিল। আমি নিজেও সে ঘোষনা দিতে পারতাম। এই পর্যায়ে টেনে আনা কতটা শোভনীয় তাহা সময় বলবে।
নেহাল আহমেদ
রাজবাড়ী।
গত ২৪ এপ্রিল অস্বচ্ছতার অভিযোগে ৬টি সুনিদিষ্ট কারণে তাকে এডমিন প্যানেল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
নেহাল আহামেদ এর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী হেল্প লাইনের আনিত অভিযোগ এর লিংক-https://matrikantha.com/main/article/3982?fbclid=IwAR3ThR1Zl4OdlmGeY99cPBgdW-wCZf-7_fVdnsWkeERSibZzZTp1roPAPCg