স্টাফ রিপোর্টার রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ীতে নেই রাজা নেই জমিদার ও নেই রাজপ্রাসাদ কিংবা জমিদার বাড়ী বা মহল। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে রাজা ও জমিদারদের প্রায় সব স্মৃতি চিহৃ। রাজবাড়ীর প্রাণকেন্দ্রে দাড়িয়ে আছে রাজবাড়ীর কালের স্বাক্ষি হিসেবে দাড়িয়ে আছে রাজবাড়ী সরকারী স্কুলের এই লাল ভবন। যে স্কুলটি রাজবাড়ীর এক মাত্র সরকারী স্কুল। সেই ভবনটি বাচিয়ে রাখার জন্য আজ রাজবাড়ীর মানুষ দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দেড়শ বছরের পুরাতন ভবন রক্ষা ও সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
ঐতিহ্য সংরক্ষণ আন্দোলন রাজবাড়ীর আয়োজনে সোমবার বেলা ১১টা বিদ্যালয়টির সামনের সড়কে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন একুশে পদক প্রাপ্ত চিত্র শিল্পী ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র শিল্পী মনছুর উল করিম, সাংবাদিক বাবু মল্লিক, মহিত উজ্জামান বেলাল, সদর উপজেলা পরিষদ- ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল, রাস এর নির্বাহী পরিচালক লুৎফর রহমান লাবু, সাংবাদিক বাবু মল্লিক, সমাজকর্মী মহিতুজ্জামান বেল্লাল, কাজী রতন, সুলতানা আহম্মেদ, শিক্ষক আব্দুর রউফ হিটু।
এসময় শিল্পী মনছুর উল করিম বলেন, ভবনটি ভাঙ্গতে আসতে আমি তখন আত্মুহি দেব।
উল্লেখ্য সম্প্রতি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে সেখানে একটি নতুন ভবন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বক্তারা বলেন, এই বিদ্যালয়ের লাল ভবনটি দেড়শ’ বছরের পুরোনো। এটির সঙ্গে আমাদের হাজার হাজার বর্তমান ও সাবেক ছাত্রদের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই ভবনটি রক্ষা করতে হবে। এটি সংস্কার করলে শত শত বছর টিকে থাকবে।উল্লেখ্য, ১৮৭১ সালে মাইনর স্কুল দিয়ে যেটির যাত্রা শুরু তাপূর্ণ রূপ পায় ১৮৯২ সালে। ১৮৯২ সালে তৎকালীন গোয়ালন্দ মহকুমার বাণিবহ স্টেটের জমিদার গিরীজা শংকর মজুমদার ও অভয় শংকর মজুমদার রাজবাড়ীর সজ্জনকান্দা মৌজায় দি গোয়ালন্দ ইংলিশ হাই স্কুল নাম দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে গোয়ালন্দ মডেল হাই স্কুল এবং সর্বশেষ রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করা হয়। কালের পরিক্রমায় পুরনো ভবনটির পাশে ও সামনে আরও তিনটি ভবন নির্মিত হয়। যে কারণে ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল কর্তৃপ। বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ভবনটিকে টিকিয়ে রাখার দাবি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেস শক্ত ভাবে বিভিন্ন বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করছেন।