রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ীর কালখালিতে ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ‘র বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আইন উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮) আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে মদাপুর ইউনিয়নের দামুগ দিয়া গ্রামে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষণের শিকার মা হারা স্কুলছাত্রী (৯) দামুগদিয়া গ্রামের দিনমুজুর নিরু মন্ডলের মেয়ে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, বিকলে ৫টার দিকে শিশু (৯) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে আমরা কুড়াতে গেলে একই গ্রামের মৃত সুরহাদ মন্ডলের ছেলে আইন উদ্দিন মন্ডল (৭০) বছর বয়সী লম্পট জোর করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এর পাশে হান্নান মুন্সীর নারসারীতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটির চিৎকার শুরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিয়ন আশে পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ধর্ষণকারী আইন উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে।
শিশুটির দাদা চয়েন মন্ডল জানান, ২৮ আগস্ট তারিখ মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশের নাসারিতে আমরা কুরাতে গেলে লম্পট আইন উদ্দিন, মুখ চেপে ধরে নিয়ে গিয়ে ছোট্র শিশুকে ধর্ষণ করেছে।
মদাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, দামুগদিয়া গ্রামে ধর্ষণের মত এমন ঘটনা যে ঘটিয়েছে তার তীব্র প্রদিবাদ জানাই এবং যে জড়িত তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।
দামুগ দিয়া ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাকিম মন্ডল জানান, এর আগেও আইন উদ্দিন এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোন বিচার হয়নি। তাই এবার ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে এই বিচারের দাবি জানাই।
নাম প্রকাশ না করার সর্থে একাধীক এলাকাবাসী জানান, আইন উদ্দিন রাস্তার পাগল, অন্যের বাড়ির ছাগলকেও ধর্ষণ করেছে। সে এমন কাজ মাঝে মধ্যেই করে তাই আমরা এলাকাবাসী এই লম্পটের সঠিক বিচার দাবি করছি।
ঘটনাটি জানা জানি হলে ২৯আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির বাবা নিরু মন্ডল কালুখালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পেয়ে কালখালি থানা পুলিশ বুধবার রাতেই দামুগ স্কুল ছাত্রীর বাড়িেেত যায়। পরে বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীদের বাড়ি ও ঘটনাস্থল গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুর বাবা নিরু মিয়া জানান, আমার ছোট্র শিশু মেয়েকে আইন উদ্দিন ধর্ষণ করেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
তবে অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর ছেলে কামরুল মন্ডল ধর্ষণের কথা অ-শিকার করে বলেন আমাদের সাথে পুর্ব শত্রুতার জেরে আমার বাবার নামে মিথ্যে অপবাদ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কালাম মৃধার সাথে একাধীক বার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভাব হয়নি। একটি সময় তার ফোন রিসিভ হলেও তিনি ধরেন নি ফোন ধরে ছিলেন তার ধরেছে তার সকারী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শেষ বার ৬টা ১০মিনিটও তাকে ০১৭১৮-১৮৬১৬৩ নাম্বারে ফোন করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
কালুখালি থানার ওসি মোঃ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম, জানান এমন ঘটনার বিষয়ে শুনেছি তবে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।