স্টাফ রিপোর্টার রাজবাড়ী টুডে : চাঁদা দিতে অ-শিকার-অটোচালককে মারধোর। এঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ অটো ভাংচুর ও চালককে মারধোরের অভিযোগ। ১৭ মার্চ রবিবার দুপুরে শহরের মুর্গির ফার্ম বাস-স্ট্যান্ড এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে বাস শ্রমিকদের দাবি কোন চাঁদা চাওয়ার মত ঘটনা ঘটে নি। তারাই উল্টা আমাদের শ্রমিককে পিটিয়েছে।
একাধীক অটো চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মুর্গির ফার্ম এলাকায় কোন অটো গেলেই তাদের কে দিতে ১০/২০টাকা চাঁদা। যদিও এ চাঁদা পৌর পার্কিং বা কোন সমিতির টাকা নয়। এটি মাস্তানি চাঁদা হিসেবে নিয়ে থাকেন স্থানীয় কয়েকজন।
আজ একই নিয়মেই একজন অটো চালকের কাছে ১০টাকা চাঁদা দাবি করলে সে টাকা দিতে অ-শিকার করলেই তাকে বেধরক মারধোর করা হয়। এঘটানায় মুর্গির ফার্ম এলাকায় অটো-ও বাস শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ বাধে অটো চালকদের।
এঘটনায় বাস শ্রমিকরা কয়েকটি অটো ভাংচুর করেছে বলে দাবি অটো চালকদের। পরে অটো চালক ও অটো শ্রমিকরা জোট হয়ে বড়পুল এলাকায় বেড়িকেট দিয়ে বাস আটকানোর চেষ্টা করে। এসময় রাজন পরিবহন নামে একটি লোকাল বাস ভাংচুরের শিকার হয়।
এঘটনায় রাজবাড়ী অটো- স্ট্যান্ড ইজারাদার সাজ্জাদুল কবির তানজিম জানান, মর্গির ফার্ম এলাকায় যে কোন অটো গেলেই তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০/২০টাকা করে চাঁদা আদায় করে উজ্জল সহ কয়েক জন মাস্তান। এভাবেই অবৈধ ভাবে এত দিন চাঁদা আদায় করে আসছিল। আজকে একজন অটো চালক চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে মারধোর করে ঐ সকল চাঁবাজরা। পরে তাদের সাথে অটো চালকদের সংঘষং বাধে। এসময় কয়েকটি অটো ভাংচুর করে তারা। অটো চালকদের কথা হলো আপনারা পৌর পাকিং এর টাকা নিচ্ছেন এটা পৌর সভা বৈধভাবে নিচ্ছে। কিন্তু তাদের কে কেন ২০টাকা চাঁদা দিতে হবে। পরে এঘটনায় অটো চালকরা বড়পুল এলকায় অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে বাস শ্রমিকদের হাতে মারধোরের শিকার হওয়া অটো চালক মানিক মন্ডল জানান, আমি রেলগেট থেকে যাত্রী নিয়ে মুর্গির ফার্ম এলাকায় যাই। সেখানে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পূণরায় যাত্রী উঠাতে গেলেই উজ্জল নামের এক বাস শ্রমিক আমার কাছে ১০টাকা চাঁদা দাবি করে। কিসের টাকা কোন রশিদ আছে জানতে চাইলে সে আমাকে বলে যে আমাদের টাকা নিতে কোন রশিদ লাগে না। এখানেই আসলেই টাকা দিতে হবে। আমি টাকা দিতে অ-শিকার করি। পরে আমাকে উজ্জল ও আরজেন সহ কয়েকজন মারধোর করে। পরে আমি অটো স্ট্যান্ড ইজারাদার তানজিম ভাইকে ঘটনাটি জানাই। পরে আবারও আমাদের কয়েকজন অটো-চালকে মারধোর ও অটো ভাংচুর করে উজ্জল ও তার সহযোগীরা।
রাজবাড়ী সদর থানার তদন্ত ওসি মোঃ আব্দুলআহ আল তায়েবির জানান, আমরা জানতে পেরেছি যে অটো দাড়ানো নিয়ে বাস-শ্রকিদের সাথে সংঘর্ষ বাধে অটো চালকদের। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু অটো চালক বড়পুল এলাকায় অবস্থান নিয়ে ছিল পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। চাঁদা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, চাঁদা আদায়ের বিষয়ে পুলিশের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে যদি চাঁদা আদায়ের মত কোন ঘটনা থাকে তাহলে এবিষটি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তিনি আরো বলেন, এ বিষয় নিয়ে দ্রুত নতুন বাজারের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও অটো শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে থানায় বসে একটি সুষ্ঠ সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার জানান জানান, বাস স্ট্যঠহু এলাকায় অটো দাড়িয়ে ছিল এসময় উজ্জল নামে অটোটিকে সরাতে বলে। অটো চালক না সরিয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলে। পরে তাদরে মধ্যে কাথা কাটা কাটি এক পর্যায় সঘর্ষ বাধে।
এঘটনায় কমিশনারের ভাই ও বাসমালিক সমিতির কর্মচারী এবং বাস শ্রমিক মোঃ আবজাল হোসেন আরজান বলেন, সকাল সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া বাস স্টপেজ এর সামনে একটি অটো এসে দাড়ায় পরে বাসমালিক সমিতির চেকার উজ্জল অটোটিকে সরাতে বলেই তার উপর রেগে যায় চালক। পরে এক পর্যায় উজ্জল অটোর পিছনে একটি বাড়ি দেয় সরানোর জন্য। এমন সময় ঐ অটো চালক উজ্জলকে গালি গালাস করলে দুজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে এঘটনায় অটো ইজারাদার ও তার লোক জন এসে উজ্জলকে মারধোর করলে আমি এসে দুই পক্ষে সরিয়ে দেই। ১০টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ও উজ্জল সহ বেস কয়েকজন বাস মালিক সমিতির বেতন ভুক্ত কর্মচারী আমরা চাাঁদা কেন চাইবো। চাাঁদা চাওয়ার মত কোন ঘটনা এখানে ঘটেনি। অটো চালক ও ইজারাদার মিথ্যে কথা বলছে। এঘটনায় বাস-মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের কথা মত বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে পুলিশের আস্বাসসে ২ঘন্টা পরে বাস চলাচল শুরু হয়।
বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোরাদ হোসেন জানান, জানান একটি অটো বাস স্টপের পাশে ই দাড় করিয়ে যাত্রী উঠাছিল পরে উজ্জল নামে একজন চেককার তাকে সরাতে বলে সে অটো না সারালে অটোর পিছনে লাঠি দিয়ে একটি বাড়ি দেয়। পরে এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে অটো চালক ও অটো ইজারাদার সহ বেসক কয়েক জন মিলে উজ্জলকে মারধোর করে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চায়।পরে সকল শ্রমিক মিলে তাকে উদ্ধার করে। এমন অবস্থায় বাস চালাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে বলে যে আপনরা অভিযোগ দেন আমরা ব্যবস্থা নিব। পুলিশের দেওয়া আশ্বাসে বাস চাচল শুরু হয়।