রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড বিতরনের ৪র্থ দিনেও ভোগােন্তির শিকার সাধারণ মানুষ।
১৪ আগষ্ট ঙ্গলবার সকাল থেকেই শত শত মানুষ স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের জন্য লাইনে দাড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বিকাল ৪টার দিকেও শতশত মানুষ কার্ড সংগ্রহের জন্য লাইন দিয়ে দাড়িয়ে ছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ নির্বাচন কমিশন অফিসের লোকবল সংকট, অযোগ্য লোক নিয়োগ, স্মার্ট কার্ড বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃতীয় পক্ষের অভিজ্ঞতার অভাবের কারনেই কার্ড নিতে আশা মানুষ গুলো এই দুর্ভোগের শিকার হয়।
৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা উজ্জল ঠাকুর বলেন সকাল ৯ টায় এসেছি এখন ৪ টা বাজে এখনও কার্ড পাই নাই।
৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা সাংবাদিক মোরশেদ আলম মালেক বলেন, সকাল ১০ টায় এসে লাইনে দাড়িয়েছি। লাইনে থেকে নিয়ম অনুযায়ী টোকেন সংগ্রহ করি বিকেল ৫টায়। পরে টোনেন প্রদানকারী বলেন আপনি নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। পরে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমার স্মার্ট কার্ড পিন্ট হয়নি। আমি ৭ঘন্টা লাইনে থেকেউ কার্ড পেলাম না।
বিনোদপুর ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা মোঃ বাবু খন্দকার বলেন সকাল ১০ টায় এসেছি এখন ৩টা বাজে এখনও টোকেন কার্ড পাই নাই। লাইনে দাড়িয়ে আছি আরো এক ঘন্টা পরও পাবো কিনা জানি না।
বিনোদপুর ৩নং২নং এর বাসিন্দা নরেশ সিল জানান, সকাল ১১টায় আসছি এখন ৪টা বাজে টোকেন পেয়েছি। ফিঙ্গার ও চোখের ছাফ দিয়ে আবার আরেক লাইনে দাড়িয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কার্ড পেয়েছি।
কার্ড সংগ্রহ করতে আশা একাধীকন গ্রাহক বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কার্ড বিতরণ করেলে এমন ভোগান্তির শিকার হতে হতো না আমাদের।
সড়েজমিনে গিয়ে দেখা যায় কার্ড বিতরণের কাজ করছে মাত্র ২৫জন তাদের মধ্যে ৩জন দিচ্ছে টোকেন।এই কাজে নিয়োজিত তারা একেবারেই নতুন। কাজ বোঝে কম তাই সময় বেশি লাগেছে। এ কারনেই সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
বিকাল ৬টার দিকে স্মাট কার্ড দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে যারা টোকেন সংগ্রহ করেছিল তারা ফিঙ্গার প্রিন্ট না দিয়ে বাড়ি চলে যেতে হয়।
সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ফকরুদ্দিন আহম্মেদ বলেন ৯তারিখ থেকে আমরা নিয়ম অনুয়ায়ী সঠিক ভাবে কার্ড বিতরণ করেছি। আজ ১৪ আগস্ট মঙ্গলবার প্রায় আড়াই হাজার ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ২৫০০শত মানুষের মাঝে কার্ড বিতরণ করায় একটু সমস্যা হচ্ছে এটা সারা বাংলাদেশের চিত্র। কারণ মাত্র ২৫জন কর্মীর মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে যারা কাজ করছে তারা সবাই নতুন। তবে আশা করি তাদের কাজের গতি এখন আরো বারবে।ফিরে যাওয়া গ্রাহকদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার বলেন, যারা কার্ড সংগ্রহ করতে পারিনি সময় শেষ হওয়ার কারনে সে সকল গ্রাহকদের আগামী শনি-রবিবার কার্ড দেওয়ার হতে পারে। তা নাহলে সুবিধামত কোন এক সময়ে ঘোষনা দিয়ে তাদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।