খন্দকার রবিউল ইসলামঃ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণসংহতি আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিকের সংগঠন করার অধিকার স্বীকৃত। আবার ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিকের নির্বাভিত হবার অধিকার রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাজ এই অংশগ্রহন যাতে বিনা বাধায় ও বৈষম্যহীনভাবে হতে পারে তার ব্যবস্থা করা। কিন্তু আমরা দেখছি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন আইনে শর্তগুলো এমনভাবে ঠিক করা হয়েছে যাতে করে মনে হতে পারে সকল নাগরিকের রাজনীতি করার ও দল গঠন করার সাংবিধানিক অধিকারকে বাস্তবায়ন নয় বরং তাতে নানা বাধা-বিপত্তি তৈরির এই বিধিমালার উদ্দেশ্য। কিন্তু দেশের বিদ্যমান আইনের ভেতরে তার অপর্যাপ্ততা ও অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে গণসংহতি আন্দোলন তার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
এর ধারাবাহিকতাকেই, নির্বাচন কমিশন এর গত ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখের গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বিধি অনুযায়ী শর্ত পূরন সাপেক্ষে গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধনের আবেদন করে।
পরবর্তিতে গত ৮ এপ্রিল তারিখে পত্র মারফত নির্বাচন কমিশন তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যে ঘাটতি বা সম্পূরক শর্তাদি পালনের শর্ত দেয় তাও গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে যথাযথ ভাবে পূরন করা হয়।
উল্লেখ্য ইসির এই চিঠি ছিল দলিলপত্রের কোন ঘাটতি থাকলে তা পূরন করতে ১৫ দিন সময় দেবার বিধান অনুযায়ী। সেখানে ইসির চিঠিতে দলের গঠনতন্ত্রে অঙ্গ সংগঠন না রাখার বিধান যুক্ত করা এবং বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া বিস্তারিত করার কথা বলা হয়। যার অর্থ নির্বাচন কমিশন এই দুই ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে কোন ঘাটতি নেই বলে স্বীকৃত দেয়। কাজেই তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী গনসংহতি আন্দোলন এই দুইটি বিষয়ই গঠনতন্ত্রে পরিষ্কারভাবে যুক্ত করে তার অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন চাহিদা অনুযায়ী দলিলাদি বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলন সকল শর্ত পূরন করে। সদস্য সচিব মোঃ টুটুল আহম্মেদ,সদর উপজেলা সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম, কালুখালি উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ উপজেলা আহ্বায়ক ইসলাম সরদার প্রমুখ।