মো: মাহ্ফুজুর রহমান, রাজবাড়ী টুডে ডট কম:
আসছে নতুন বছর। নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে তৎপর সরকার। ইতি মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলা চাহিদা অনুযায়ী ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর পর্যন্ত ৩৪টি বিষয়ের বই পৌঁছেও গেছে। অপেক্ষা শুধু নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসের।
চলতি বছরে পহেলা জানুয়ারী সারা দেশে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে কচি-কাচা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছিল নতুন পাঠ্যপুস্তক।
বর্তমান সরকার যুগান্তরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রতি বছর ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন। আর সেই ধারিবাহিকতায়, গত ৫ অক্টোবর ২০১৬ ইং তারিখ থেকেই রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে নতুন পাঠ্যপুস্তক সংরক্ষণ কার্যক্রম। এমনটিই জানিয়েছেন রাজবাড়ীর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারমিস সুলতানা।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রী পর্যায়ে বই সংরক্ষণের গোদাম না থাকায় স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে নতুন পাঠ্যপুস্তক সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। ইতি মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর পর্যন্ত ৩৪টি বিষয়ের বই আমাদের অফিসে পৌছে গেছে। গত ৫, ৮ ও ১৭ অক্টোবর সদর উপজেলার ২১টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন পাঠ্যপুস্তক সংরক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সামনে গিয়ে দেখা যায়, খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী ইনষ্টিটিউট (স্কুল এন্ড কলেজ) প্রধান শিক্ষক মো: সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাসের নিকট আগামী বছরের পাঠ্যপুস্তক তুলে দিচ্ছেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পারমিস সুলতানা।
এসময় সদর উপজেলার কোলা সদর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, মূলঘর উচ্চ বিদ্যালয়, বসন্তপুর কো-অপারেটিক হাই স্কুল, সূর্যনগর বিএল উচ্চ বিদ্যালয়, আটদাপুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা নিজ দায়িত্বে আগামী বছরের নতুন পাঠ্য পুস্তক গুলো সংরক্ষণ করছেন।
রাজবাড়ীর জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান জানান, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার, যা পরিপুর্ণ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে আন্তরিক ভূমিকা রেখে চলেছে।
সরকার বিনামূল্যে বৎসরের প্রথম কার্যদিবসে পাঠ্য পুস্তক বিতরণ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করেছে। অসহায় গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করতে উপবৃত্তি প্রদান করছে।