স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডেঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টুকু মিজির নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ই নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় মিজানপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দূর্গাপুর পশ্চিমপাড়া এলাকাবাসী আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে টুকু মিজি বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি যদি বিজয়ী হতে পারি এই মিজানপুর ইউনিয়ন পরিষদ হবে জনসাধারণের শেষ আশ্রয়স্থল, আমি যতদিন বেচেঁ থাকবো আমার প্রিয় জন্ম ভূমি মিজানপুর ইউনিয়নের মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকবো। তাই মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আশা করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
কারণ আমি সবসময় আপনাদের সাথে আছি। দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশর মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করছি। সে জন্য আমার বিশ্বাস এই ইউনিয়ন এর প্রত্যেকটা মানুষ আমার সাথে আছে। ইনশাল্লাহ আমি আপনাদের সেবক হবো। এই মহামারী, দীর্ঘ করোনায় মধ্যে নিজের জীবন বাজি রেখে আপনাদের পাশে ছিলাম। প্রায় ১০হাজার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়েছি। নিজকে সব সময় আপনাদের সেবায় নিয়োজিত রেখেছি।
ইউনিয়নের প্রত্যেকটা মহল্লায় ২/৩টা খন্ড করে আমি আপনাদের সঙ্গে মত বিনিময় করছি, কারণ আমি মনে করি জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আসলে মানুষের কাছে যেতে হবে, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আমাকে আপনাদের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দিবেন। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর,৩০ বছর আমরা এই ইউনিয়নের ভোট দিয়ে থাকি। বিগতদিনে এই ইউনিয়নে দুইজন মানুষ শ্বাসন করছে ৩০বছর।
৩০বছরে আপনাদের জন্য, এলাকার জন্য কি কাজ তারা করেছে। তার বিচার ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। এরা কতবার আপনাদের কাছে আসছে আপনাদের আপদে-বিপদে সবসময় আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এটা আপনাদের বিবেচনা করতে হবে।
ভোট একটি মূল্যবান জিনিস, এই মূল্য বান জিনিস ভোট, দিতে হবে একজন ভালো মানুষ, একজন সৎ মানুষ কে। আমি বলি না যে আমি ভাল, ভালোরও সংঘা অনেক কঠিন। তবে আপনাদের দেখতে
হবে কম খারাপকে। তবে একটা কথা আছে মন্দের ভালো আপনার ভোট টা তাকে দেয়া উচিত। কারণ আপনার ভোট নিয়ে আমি যত অপকর্ম করবো কাল কেয়ামতের ময়দানে হিসাব আপনাকে আর আমাকে দিতে হবে। সে কারণে আপনাকে একজন ভালো লোককে ভোট দিতে হবে আমি দীর্ঘ সময় ৩০বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছি।
৩৫ বছর রাজনৈতিক জীবনে আমি চেষ্টা করেছি দলবল নির্বিশেষে প্রত্যেকটা মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করার জন্য। যখন আমি সামাজিক কর্মকান্ড করেছি। আমি কখনো দলবাজি করি নাই। আমি যখন সাংগঠনিক কাজ করি সেখানে আমি ছাড় দেই না আমার নেতৃবৃন্দ প্রত্যেকটা নির্দেশনা অনুযায়ী আমি আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি, কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে যখন আমি সামাজিক কর্মকান্ড করি তখন আমার কাছে দল বড় হয়ে দাঁড়ায় না, আমি মনে করি এই ইউনিয়নের প্রত্যেকটা মানুষ আমার আত্মীয়। প্রত্যেকটি মানুষের প্রতি আমার যেমন হক আছে, তেমনি আমার প্রতি প্রত্যেকটা মানুষের হক আছে। আমি চেষ্টা করি সবসময় দলবল নির্বিশেষে সকল সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সকলকে নিয়ে মিলেমিশে থাকার জন্য। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো আমি আপনাদের কাছে মিথ্যা আশ্বাস দিবোনা।
আমি আপনাদের বলি আমি আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আমি একজন মুসলিম ঘরের সন্তান,আল্লাহকে সাক্ষী করে বলতে পারি আমার সামনে মসজিদ আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা দিতে পারি আপনারা যদি আমাকে একবার সুযোগ দেন পরিষদের একটি পয়সা’ আমার পেটে যাবে না, আমার সন্তানদের পেটে যাবে না। ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যেকটি টাকা দিয়ে আমার আপনার ইউনিয়ন জন্য কাজ করবো। আমি সর্বদলীয় ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করবো। এই ইউনিয়ন হবে, একটি মডেল ইউনিয়ন। একটি সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিচালনা করা হবে।
আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো ভালো কাজ করা সম্ভব।
এতে স্থানীয় দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিন উদ্দিন আহম্মেদ টুকু ফকীরের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু, মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি আজম মন্ডল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ বিশ্বাস, রাজবাড়ী পৌরসভা কর্মচারী সংসদের সভাপতি আব্দুল খালেক নাদু, কৃষি ব্যাংকের সিবিএ নেতা আব্দুল লতিফ, ছাত্রলীগ নেতা আয়মান আওসাফ মুক্তার, সুজন আহম্মেদ নূরালসহ প্রমুখ।