স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডে: দেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসাবে পরিচিত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কয়েক গুন। নাড়ীর টানে গ্রামের বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঈদের আগে আজ শেষ অফিস। পোশাক কারখানাও ছুটি হয়ে গেছে। সবাই একসঙ্গে বাড়ি ফিরছে সড়কে কোন দুর্ভোগ ছাড়াই।
লঞ্চঘাট সহ বাস টার্মিনালে নারির টানে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নামা শুরু হয়েছে ৩১মে শুক্রবার ঈদের ছুটির প্রথম দিন থেকেই। তবে ঘাট এলাকায় প্রতিবারের মত নেই কোন যানজট। তপর রয়েছে প্রশাসন। সে কারেনই লঞ্চ ও ফেরি থেকে নেমেই কোন ঝামেলা ছাড়াই মানুষ পরিবহনে উওঠ যাচ্ছে গন্তব্যে।
চিরচেনা দুর্ভোগের অপর নাম দৌলতদিয়া ফেরিঘাট কিন্তু এবারের ঈদ যাত্রায় যোগ হয়েছে বিভিন্নতা যে ঘাটে যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয় যাত্রীদের। এবার ঈদে কোন যাত্রীকে আধা ঘন্টাও বসে থাকতে হচ্ছে না। সে কারনে এরুটে চলাচলকারী যাত্রীরা ভিশন খুশি। যাত্রীরা বলছে এবারের ঘাটের পরিবেশ খুবই ভালো তাই রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ সহ ঘাট কর্তৃপক্ষকে আন্তরকি ভাবে ধন্যবাদ জানাই। তবে যদি প্রতি নিয়ত এমন পরিবেশ থাকে তাহলে আমরা সাধারণ যাত্রীরা ভালো ভাবে চলাচল করতে পারবো।
যাত্রীর তুলনায় পরিবহন কম থাকায় যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে। তবে কোথাও যানজট নেই। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ এ সড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় একটু জট থাকলেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে কোথাও যানজট হয়নি। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষ এ সড়কে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে। তবে বিকেলে থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে।
ভবানিপুর গ্রামের মাসুদ বলেন, প্রতিবারই তিনি গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করেন। বাড়িতে তার মা-বাবা ও বোন থাকেন। যানজটের আশঙ্কায় এক সপ্তাহ আগে স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার দৌলতদিয়া ঘাটে কোন যানজটই দেখেনি।
সরেজমিনে গিয়ে, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট ও বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে ঘাট এলাকয় কোন যানজটের চিত্র দেখা যায় নি। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা আনন্দে বাড়ি ফিরছে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই।
এবার ঈদে দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে রয়েছে আনসার বাহিনী।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি ও ৩৪টি লঞ্চ চলাচল করছে। পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ থাকার কারণে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ নির্বিঘ্নে ঘাটে পৌঁছাতে পারছেন।
এদিকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে ঈদের আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। তবে পচনশীল ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকগুলো পরিবহনের সঙ্গে পারাপার হচ্ছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘাট এলাকায় পুলিশ, র্যাব ফায়ার সার্ভিস, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহলে রয়েছেন।