রাজবাড়ী টুডে:বেপরোয়া গতি’র বাইকের চাপায় প্রাণ হারালেন শিক্ষক হাসমত আলী।
গত ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বড় মসজিদের সামনে রাজবাড়ীর টাউন মক্তব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরীর লাইব্রেরিয়ান হাসমত আলী (৬৫)কে চাপা দেয় লাল রংঙ্গের একটি হাং মোটরসাইকেল বাইকার। এতে তিনি মারাত্বক ভাবে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর রেফার করেন।
সেখানেও তার অবস্থার অবনতিহলে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।পরে ২৪আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত হাসমত মাস্টার পৌরসভার বিনোপুর ৩নং ওয়ার্ডের মিলন সংঘ এলাকার মৃত ভাসান প্রমাণিকের ছেলে।
নিহতের ছেলে মোঃ জুয়েল জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে প্রাইভেট পরিয়ে বাবা বাড়ীতে রওনা দিয়ে দেন, বড়মসজিদের সামনে আসা মাত্র বেপরোয়াগতির লাল রংঙ্গের একটি হাং মোটরসাইকেল তাকে চাপা দেয়। এতে মারাত্বক ভাবে আহত হন তিনি।পরে স্থানীয়রা আমার বাবাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আজ ২৫ আগস্ট শনিবার দুপুর ১২ টায় ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে মারা যায়।
আজ ২৫ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় বিনোদপুর পাওয়ার হাউজ এবং রাতে শহরের বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে তার দুই দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হকসহ জেলা শহরের অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তার লাশ শহরের ভবানীপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুতে শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ কাজী কেরামত আলীর একমাত্র সন্তান কানিজ ফাতেমা চৈতি এবং জেলা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর ছেলে কাজী রকিবুল হোসেন শান্তুনু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে প্রিয় স্যারের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না তার ছাত্রছাত্রীরা। তাইতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে যার যার মত প্রতিবাদ জানাচ্ছে।পাশাপাশি করছেন শোক প্রকাশ।
হাসমত স্যারের মৃত্যুতে নিজ ফেসবুক আইডিতে শোক প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি আলহাজ¦ কাজী কেরামত আলীর মেয়ে কানিজ ফাতেমা চৈতি ,জেলা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর ছেলে কাজী রকিবুল ইসলাম শান্তুনু, দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক, নুরে আলম সিদ্দিকী হক সহ অসংখ্য মানুষ তার এই মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বাইকারের শাস্তি চেয়ে প্রতিবাদ করেছন।
জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর ছেলে কাজী রকিবুল ইসলাম শান্তুনু, তার আইডিতে লিখেছন, হাসমত স্যারের হত্যাকারীর বিচার চাই।
১।রাজবাড়ী প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধঃ হাসমত স্যারের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে তার কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করুন। ২।রাজবাড়ী সাংবাদিক ভাই এবং কাকুদের প্রতি অনুরোধঃ মৃত হাসমত স্যারের ছবি না, হত্যাকারীর ছবি প্রকাশ করে রাজবাড়ীতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে প্রশাসনেকে সহযোগিতা করুন। ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার তিনি লিখেছেন, তকাল বড় মসজিদের সামনে হাসমত স্যার কে যে মোটর সাইকেল আরোহী (বাইকার) ধাক্কা দিয়ে তাকে (নিউরোলজি হাসপাতাল, আগারগাঁও) জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি অবস্থায় রেখেছে, সেই দোষী ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাই।
যে এই জঘন্যতম কাজটি করেছে তার পরিবারের উচিত হবে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া। আমি আশা করি, দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদেশের সড়কে যারা মানুষ ঘায়েল্ করে ও হত্যা করে, তারা অমানুষ! এই সকল অমানুষদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত, কঠিন শাস্তি!
শান্তনুর এমন প্রতিবাদে যরা কেমেন্টস করেছেন।
অন্যরা লিখেছেন, সাংবাদিক Debasish Biswas: সবাই বিচার চাইলে বিচারের মুখোমুখি কে করবে? অার এমন বেপোরোয়া গতির মটরসাইকেল পুলিশ ধরলে যারা দতবির করে তাদের কি করতে হবে? দামি গাড়ী কারা চালায়, কোন বয়সী চালক চালায় , এদের বৈধতা কি সেটা নিশ্চত করতে হবে। সাংবাদিক Fakir Ashiqur Rahman: আমার জায়গা থেকে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো দাদা।, প্রীতম কুমার দে পিন্টু : ভাইয়া আমি মনে করি প্রথমে অভিভাবকদের শাস্তি দেওয়া উচিত। এই অভিভাবকদের কারণে আজ পোলাপান গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন এস.এস.সি বা এইচ.এস.সি পাশ করলেই বাপ-মা মোটরবাইক হাতে তুলে দিচ্ছে!
স্যারের ঘাতককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি কামনা করছি।, Zahangir Hossain সহমত। হাসমত স্যার ছিলেন একজন ভাল মানুষ। যদি তার হত্যাকারী’র ছবি আপনার কাছে থাকে তাহলে আমাকে দিতে পারেন।আমি আমার রাজবাড়ী বার্তার নিউজ পোটালে ব্যবহার করবো। এভাবেই অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্যারের মৃত্যুতে।
সাংবাদিক Robiul Khondukar তার আইডিতে লিখেছেন।
দুর্ঘটনা নয় এটি হত্যা: বিচার চাই
কি বলেন সবাই আমরা কি বিচার চাইতে পারি না…..?
হাসমত স্যার কে হত্যা করা হয়েছে-কারন বেপরোয়া ভাবে বাইক চালিয়ে যে একটি পরিবারের এক মাত্র উপার্জনকারী মানুষের জীবন কেরে নিয়েছে সে অবশ্যই একজন হত্যাকারী। তার শাস্তি হওয়া উচিৎ!! এমন ঘটনার যদি বিচার না হয় তাহলে প্রতি নিয়ত এধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমি আশা করি এই বাইক চালককে খুজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। দুর্ঘটনায় নয় এটি হত্যা: বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে কেরে নিলো একজন শিক্ষকের জীবন: নিভিয়ে দিলো একটি পরিবারের প্রদীপ, থামিয়ে দিলো একটি সংসারের চাকা। গত ২৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বড় মসজিদের সামনে রাজবাড়ীর টাউন মক্তব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ওরাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরীর লাইব্রেরিয়ান হাসমত আলী (৬৫)কে চাপা দেয় লাল রংঙ্গের একটি হাং মোটরসাইকেল বাইকার।
২৪ আগস্ট হাসমত স্যার মারা যান চিকিৎসাধীন অবস্থায়.. ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন. আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ স্যার কে বেহেশত নসিব করুন। আমিন