খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী টুডে ডট কম: গরিব দুস্থদের জন্য ১০টাকা দরের ৮বস্তা চালসহ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজধরপুর ৬নং ওয়ার্ডের ডিলার নুরুল ইসলাম শেখকে আটক করে জনগণ। রাজধরপুর বাজাররের খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হত-দরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রয় কেন্দ্রের ডিলার মোঃ নরুল ইসলাম শেখ ১ অক্টোবর শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৮বস্তা চাউল সহ আটক হন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে এমন টাই লেখা রয়েছে সাইন বোর্ডে কিন্তু রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডিলার নরুল ইসলাম শেখ হতদরিদ্র জন্য সরকারি ১০টাকা কেজী দরের ৮বস্তা চাউল চুরি করে ভ্যান যোগে নেওয়ার সময় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনগণ তাকে হাতে নাতে আটক করে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজধরপুর ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাজার বনিক সমিতির সহ সভাপতি আবতাব উদ্দিন খান জানান, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডিলার মোঃ নুরুল ইসলাম দরিদ্রদের জন্য দেওয়া ১০টাকা কেজির ৮বস্তা চাউল পাচারের সময় তাকে আটক করি, পরে সে হাতে পায়ে ধরে চলে যায়।’ এঘটনার পর থেকে ডিলারকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তিনি বিষয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন ।
রাজধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম জানান ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মজিবুর রহমান ১০টাকা কেজি চাউল বিক্রির জন্য দরিদ্রদের যে তালিকা করেছেন তা সঠিক হয়নি কারন এলাকার অনেক প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের বাদ দিয়ে তালিকা করেন একই পরিবারের একাধিক মানুষকে, কিন্তু কার্ড পেয়েছে একজন করে। তাই বাকী যাদের কার্ড হয়েছে সে কার্ডের চাউল ডিলার ও মেম্বার মিলে রাতে আধারে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে জনগন আটক করে।
এঘটনায় বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এইচ এম রকিব হায়দার ৩ অক্টোবর সোমবার দুপুরে রাজধরপুর বাজারে গিয়ে এবিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে স্থানীয়দের সাক্ষাতকার নেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খান বলেন এবার ইউনিয়ন পরিষদের কোন ক্ষমতা দেওয়া হয়নি শুধু মেম্বারগন হতদরিদ্রদের তালিকা করেছে এবিষয় একমাত্র ব্যবস্থা নিতে পারেন নির্বাহী অফিসার।
এদিকে, ৩০কেজির বদলে ২৫/২৬ কেজি এবং ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ করলেন এলাকার একাধীক অসহায় মানুষ। তাছাড়াও মেম্বাররের কাছে গিয়ে কার্ড পাননি এ অভিযোগও করেন অনেকই। তবে মেম্বার মজিবর রহমান এ অভিযোগ অস্বুীকার করে বলেন, তিনি সঠিক ভাবেই তালিকা করেছেন, এখন ডিলার কি করলো এটা তার বিষয় নয়। তিনি বলেন, ‘যারা এসব কথা বলেছে তারা আমার প্রতিপক্ষ এরা আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্যই এসব বলছে।‘
এ বিষয়ে কথা বলতে, ডিলার মোঃ নরুল ইসলাম শেখের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।