স্টাফ রিপোর্টার: ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেয়াতে প্রতি তিন ঘন্টায় দুই সে.মি. করে পানি বাড়ছে পদ্মা নদীতে। এরই মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা তীরবর্তী দুটি ইউনিয়নের ৩০ টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
রাজশাহীতেও নতুন করে দেখা দিয়েছে বন্যা। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কদিন আগের বন্যার ধকল কাটিয়ে না উঠতেই নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ চরমে।
পদ্মায় পানি বাড়তে থাকায় রাজবাড়ীতেও আবার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে সদর উপজেলার মিজানপুর, বরাট, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে আবারো বন্যা ও নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা ‘রাজবাড়ী টুডে’কে জানিয়েছেন ফারাক্কার গেট খোলাতে প্রতি তিন ঘন্টায় দুই সে.মি. করে পানি বাড়ছে পদ্মায়। এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। ফলে নতুন করে আবার বন্যা দেখা দিবে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে।
এমনটি হলে রাজবাড়ীতেও দেখা দিবে বন্যা ও নদী ভাঙন। গেলো কয়েক সপ্তাহের বন্যায় পদ্মা নদী চলে এসেছে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ১৫০ ফুটের মধ্যে।
শহরতলির মিজানপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকা, উড়াকান্দা, অন্তরমোড় এলাকায় বেশ কিছু এলাকা রয়েছে ভাঙন ঝুঁকিতে। ফারাক্কার পানির স্রোতে এসব এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
বরাট ইউনিয়নের বাসিন্দা কাজী শিহাব রাজবাড়ী টুডে’কে বলেন, ‘বারবার নদী ভাঙতে ভাঙতে পদ্মা এখন শহর রক্ষা বাঁধের একেবারেই নিকটে চলে এসেছে। কিন্তু কেউই দেখার নাই। কোন স্থায়ী পদক্ষেপই নেয়া হচ্ছে না নদী ভাঙন ঠেকাতে।’
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চার থেকে পাঁচটি গ্রামে কয়েক’শ একর জমি পাঁচ শতাধিক বসত বাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দৌলতদিয়ার চার নম্বর ফেরি ঘাটটি এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে সংশ্লিষ্টরা।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আগের দফায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় নাই, অনেকেই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। পর্যাপ্ত সাহায্য না পেলে নদী ভাঙা মানুষদের দুর্ভোগ চরমে উঠবে। তার ওপর যদি ফারাক্কা খুলে দেয়ায় পদ্মায় নতুন করে পানি বাড়ে তাহলে আবারো ভাঙনের আশঙ্কা করছেন নুরুল ইসলাম মন্ডল।