স্টাফ রিপোর্টার: নারায়নগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানা এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নিজেদের কাছে থাকা সব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ভেঙ্গে ফেলে জঙ্গিরা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট এর এডিসি ছানোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি জানান,অপারেশন “হিট স্ট্রং ২৭” অভিযান পরিচালিত হয় ৪৫ মিনিট। অভিযান শেষে ভিতরে গিয়ে পুলিশ সদস্যরা দেখতে পান, জঙ্গিদের কাছে থাকা ল্যাপটপ বেশ কয়েক টুকরা করে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এডিসি ছানোয়ার হোসেনের ধারণা, ঐ ল্যাপটপেই জঙ্গিদের সকল তথ্য সংরক্ষিত ছিলো। পরবর্তিতে পুলিশ যেনো কোন তথ্য না পায় সেই উদ্দেশ্যেই জঙ্গিরা ল্যাপটপটি ভেঙ্গে ফেলে।
আস্তানার ভিতরের তিন জনের কাছে যেই মোবাইল ফোনগুলো ছিলো সেগুলোও তিন থেকে চার টুকরা করা হয়েছে। এছাড়াও ঘরের ভিতরে থাকা সকল ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশই ভেঙ্গে ফেলে জঙ্গিরা।
এর আগে সকাল পৌনে নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যেই মূল অভিযানে নিহত হয় জঙ্গি নেতা তামিমসহ তিন জন।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন তলা ওই বাড়িতে ওষুধের ব্যবসায়ী পরিচয়ে ৫ জুলাই ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে জঙ্গিরা।
প্রায় তিন বছর আগে কানাডা থেকে দেশে আসে তামিম আহমেদ চৌধুরী। এরপর গত দুই বছরে জেএমবির বেশ কয়েকটি হত্যা ও হামলার ঘটনায় তার নাম উঠে আসে। তবে গুলশান হামলার আগে তার ব্যাপারে বেশি কিছু জানতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে তার ব্যাপারে একের পর এক তথ্য পান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নিখোঁজ ১০ তরুণের তালিকাতেও তার নাম দেখা যায়। পুলিশ বলছে, নতুন করে সংগঠিত জেএমবির অন্যতম নেতা তামিম। তার নেতৃত্বেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে জঙ্গিরা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাকে আইএসের বাংলাদেশ শাখার সমন্বয়ক বলে দাবি করা হয়।