স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডে: পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে স্রোতের তীব্রতাও বেড়েছে। স্রোতের গতিবেগ আর ফেরি স্বল্পতা, দালাল চক্রের দৌড়াতের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাক চালকরা। নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পাশাপাশি তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পার হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগছে। আর এই সুযোগে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দালালের দৌড়ঝাপ। দালাল ধরলেই পার না ধরলেই ৩দিন সময় পার।
১০ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। ০৮/০৯ জুলাই সেনামবার ও মঙ্গলবার বিকেলে যারা ঘাটে এসেছে, তারা আজও ফেরি পার হতে পারেনি। যদিও দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সকালে ফেরি টিকিট হাতে পেয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কে পদ্মা নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো। আর প্রায় ৫০টি ট্রাক অপেক্ষা করছে ট্রাক টার্মিনালে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পচনশীল ও যাত্রীবাহী বাসগুলো নদী পার করায় এখন পর্যন্ত ঘাটে তাদের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বাড়তে থাকলে যানজট আরো তীব্র আকারে ধারন করে প্রতিনিয়ত।
যশোর বেনাপোল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক মো. নূর হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছেন। রাস্তাতেই নির্ঘুম রাত কেটেছে। এখন পর্যন্ত ফেরির দেখা পাননি তিনি আজও পাবেন কি না সে নিয়ে চিন্তিত। তারমত অনেকই এভাবেই নদী পারের আসায় বসে আছেন সড়কে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, তীব্র স্রোতের কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বর্তমানে নদী পার হতে অনেক বেশি সময় লাগছে। যার কারণে ফেরিগুলোর ঘাটে ভিড়তে কিছুটা সময় বেশি লাগছে। এ কারণে ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের কিছুটা চাপ রয়েছে। এ রুটে মোট ১৫টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। কিন্তু ঈদের সময় ২০টি চালচল করে। ঈদ শেষ হলেই এক সাপ্তাহের মধ্যেই ফেরি কমে যাওয়ার কারন কি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ফেরি মেরাতের জন্য কারখানায় পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া ফেরি গুলি বেস পুরানো যার কারনে তীব্র স্রোতের মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই ফেরি বিকল হয়ে যায়। যার ফলে ফেরির সংখ্যা বেরেও বারে না। তবে স্বাভাবিকভাবে ওই রুটে ২০টি ফেরি চলার কথা।