রাজবাড়ী টুডে ডট কম: সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগমকে কোপানোর কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা বদরুল আলম।
আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ বদরুলকে হাসপাতাল থেকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। পরে বেলা দুইটার দিকে তাঁকে সিলেট মহানগর অতিরিক্ত বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় বদরুল ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত তিনি জবানবন্দি দেন। তাঁর জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেন অতিরিক্ত বিচারিক হাকিম উম্মে সরাবন তহুরা।
যোগাযোগ করলে কোর্ট পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রের ভাষ্য, বদরুল জবানবন্দিতে বলেছেন যে তিনি খাদিজাকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন। খাদিজার বাড়িতেও তাঁর যাতায়াত ছিল। ২০১০ সাল থেকে খাদিজার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। খাদিজাকে তিনি প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ক্ষোভে তিনি ওই দিন চাপাতি নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন। ‘রাগের মাথায়’ ঘটনাটি ঘটেছে বলে তাঁর ভাষ্য।
জবানবন্দি শেষে বদরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মামলার তদন্ত তদারকের দায়িত্বে থাকা সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মুসা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বদরুল সবকিছু স্বীকার করে নিয়েছেন। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আমরা এ মামলার অভিযোগপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দিতে পারবো।