বাংলাদেশের পুলিশের দাবী মতে, ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশী-বংশোদ্ভূত কানাডিয় নাগরিক তামিম চৌধুরীর নিহত হওয়ার খবরে সিলেটের বিয়ানীবাজারে এলাকার মানুষ আনন্দ মিছিল করে মিষ্টি বিতরণ করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মি. চৌধুরীর আদি বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার। তাকে ‘নব্য’ জেএমবি’র সামরিক শাখার প্রধান বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক আহমেদ নুর বলছিলেন তামিম চৌধুরীর মৃত্যুর পর এলাকায় একটা স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
কারণ গত এপ্রিল মাসে তার নাম আসার পর এলাকার মানুষ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পরে বলে জানাচ্ছিলেন মি. নুর।
বিবিসি
Image caption
নারায়ণগঞ্জে এই বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়
বিয়ানীবাজারে তামিমের নিহত হওয়ার খবর যায় শনিবার বিকেলের দিকে।
সে সময় সেখানকার মানুষ আনন্দ মিছিল করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। যদিও বিয়ানীবাজার উপজেলার মানুষ বা তার আত্মীয় স্বজন কোন দিন তামিমকে দেখেন নি।
কারণ তার জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা সব ছিল কানাডাতে।
সর্বশেষ ২০০১ সালে তার পরিবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। সিলেটে তিন মাস ছিলেন কিন্তু গ্রামের বাড়ীতে তারা যাননি।
তামিমের চাচাতো ভাই ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেছেন তিনি চাচাতো ভাই হওয়ার পরেও কোন দিন তিনি তামিম কে দেখেন নি।
তামিমের নিকট আত্মীয় যারা বিয়ানীবাজারে থাকেন তারা বলছেন তামিমের মরদেহ নিতে তারা যাবেন না।
বিয়ানীবাজারের মানুষের মধ্যে যে সেন্টিমেন্ট কাজ করতে তাতে করে তামিমের মরদেহ তারা সেখানে নিয়ে যেতে দেবে না এলাকাবাসী, এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
খবর: বিবিসি বাংলা