স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ী ১ নম্বর আমলি আদালতে ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন একজন রিকশা চালক।
এমামালর বিষয়টি তদন্ত করে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম লাবণি আক্তার।
মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী বিপ্লব কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম সাইফুল ইসলাম সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার ছয় নম্বর আসামি নুরুল হক সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
মামলার বাদী মহিউদ্দিন শেখ (৩৭)। তিনি সদর একই ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী ও আসামিরা একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে বিরোধ আছে।গত ১ আগস্ট মহিউদ্দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে রিকশা নিয়ে বের হন।সাইফুলের নেতৃত্বে মারধরসহ তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও তাঁর অবস্থার অবনতি হলে। পরে তাকে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি এক মাস ৯ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
মহিউদ্দিন মামলায় উল্লেখ করেন, বাড়ি ফিরে তিনি মামলা করতে প্রথমে থানায় যান। কিন্তু থানায় তাঁর মামলা নেওয়া হয়নি। থানা থেকে তাঁকে আদালতে মামলা করতে বলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার।
জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এক চাচাতো ভাইয়ের ওই রিকশাচালকের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। মারধর করার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রক্রিয়া চলছে।একটি চক্র আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।