ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

জিয়াউর রহমান হত্যার সময় কেমন ছিলো চট্টগ্রামের পরিস্থিতি?

রাজবাড়ী টুডে ডেস্ক: ১৯৮১ সালের ৩০শে মে শুক্রবার ভোররাত। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির রাত।

সন্ধ্যে থেকেই চট্টগ্রাম বিএনপির অন্ত:কোন্দল মেটাতে নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করে সার্কিট হাউজে রাত যাপন করছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার তখনকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন হেলাল উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, ফজরের আজানের কিছু আগেই প্রচণ্ড গুলির আওয়াজ শুনতে পান তারা।

সকাল হওয়ার আগেই তিনি আরেকজন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সার্কিট হাউজের দিকে রওয়ানা দেন। তবে সার্কিট হাউজের প্রধান ফটকে দেখতে পান প্রচুর সেনা সদস্য। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তারা বেশ কিছুটা দূরে অপেক্ষা করছিলেন।

সে দিনের কথা স্মরণ করে মি. চৌধুরী বলেন, “কিছুক্ষণ পর যখন সার্কিট হাউজে প্রবেশের চেষ্টা করলাম তখন আর্মির একটা গ্রুপ আসলো, এসে আমাদেরকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলো। এর মধ্যেই আমরা জেনে গেছি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সহ তাঁর বিশ্বস্ত বেশ কিছু সেনা সদস্য বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছেন”।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরীর বই ‘এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য: স্বাধীনতার প্রথম দশক’-এ লিখেছিলেন যে তিনি যখন থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তখন মেজর খালেদ পলাতক অবস্থায় ব্যাংককে যান এবং আরেকজন সেনা কর্মকর্তা মেজর মুজাফফর ভারত থেকে ব্যাংককে আসেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে জেনারেল চৌধুরী জিয়া হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাদের কাছে।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া

বইতে লেখা হয়েছে, “ভোর ৪টার দিকে অফিসাররা অতর্কিতে সার্কিট হাউসে আক্রমণ করে। জুনিয়ার অফিসাররা নিজেরাই দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথমে সার্কিট হাউসে রকেট ল্যাঞ্চার নিক্ষেপ করে। পরে এক গ্রুপ গুলি করতে করতে ঝড়ের বেগে সার্কিট হাউসে ঢুকে পড়ে। গুলির শব্দ শুনে জিয়া রুম থেকে বের হয়ে আসেন এবং কয়েকজন অফিসার তাঁকে ঘিরে দাড়ায়। ওই সময় লে. কর্নেল মতিউর রহমান মাতাল অবস্থায় টলতে টলতে ‘জিয়া কোথায়. জিয়া কোথায়’ বলে সিঁড়ি বেয়ে উপরে আসে এবং পলকেই গজ-খানেক সামনে থেকে তার চাইনিজ স্টেনগানের এক ম্যাগাজিন (২৮টি) গুলি জিয়ার উপর চালিয়ে দেন। অন্তত ২০টি বুলেট জিয়ার শরীরে বিদ্ধ হয় এবং পুরো শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায়”।

খবর: বিবিসি বাংলা।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

জিয়াউর রহমান হত্যার সময় কেমন ছিলো চট্টগ্রামের পরিস্থিতি?

আপডেটের সময় : ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০১৭

রাজবাড়ী টুডে ডেস্ক: ১৯৮১ সালের ৩০শে মে শুক্রবার ভোররাত। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির রাত।

সন্ধ্যে থেকেই চট্টগ্রাম বিএনপির অন্ত:কোন্দল মেটাতে নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করে সার্কিট হাউজে রাত যাপন করছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার তখনকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন হেলাল উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, ফজরের আজানের কিছু আগেই প্রচণ্ড গুলির আওয়াজ শুনতে পান তারা।

সকাল হওয়ার আগেই তিনি আরেকজন সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সার্কিট হাউজের দিকে রওয়ানা দেন। তবে সার্কিট হাউজের প্রধান ফটকে দেখতে পান প্রচুর সেনা সদস্য। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তারা বেশ কিছুটা দূরে অপেক্ষা করছিলেন।

সে দিনের কথা স্মরণ করে মি. চৌধুরী বলেন, “কিছুক্ষণ পর যখন সার্কিট হাউজে প্রবেশের চেষ্টা করলাম তখন আর্মির একটা গ্রুপ আসলো, এসে আমাদেরকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলো। এর মধ্যেই আমরা জেনে গেছি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সহ তাঁর বিশ্বস্ত বেশ কিছু সেনা সদস্য বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছেন”।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরীর বই ‘এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য: স্বাধীনতার প্রথম দশক’-এ লিখেছিলেন যে তিনি যখন থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তখন মেজর খালেদ পলাতক অবস্থায় ব্যাংককে যান এবং আরেকজন সেনা কর্মকর্তা মেজর মুজাফফর ভারত থেকে ব্যাংককে আসেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে জেনারেল চৌধুরী জিয়া হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাদের কাছে।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া

বইতে লেখা হয়েছে, “ভোর ৪টার দিকে অফিসাররা অতর্কিতে সার্কিট হাউসে আক্রমণ করে। জুনিয়ার অফিসাররা নিজেরাই দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথমে সার্কিট হাউসে রকেট ল্যাঞ্চার নিক্ষেপ করে। পরে এক গ্রুপ গুলি করতে করতে ঝড়ের বেগে সার্কিট হাউসে ঢুকে পড়ে। গুলির শব্দ শুনে জিয়া রুম থেকে বের হয়ে আসেন এবং কয়েকজন অফিসার তাঁকে ঘিরে দাড়ায়। ওই সময় লে. কর্নেল মতিউর রহমান মাতাল অবস্থায় টলতে টলতে ‘জিয়া কোথায়. জিয়া কোথায়’ বলে সিঁড়ি বেয়ে উপরে আসে এবং পলকেই গজ-খানেক সামনে থেকে তার চাইনিজ স্টেনগানের এক ম্যাগাজিন (২৮টি) গুলি জিয়ার উপর চালিয়ে দেন। অন্তত ২০টি বুলেট জিয়ার শরীরে বিদ্ধ হয় এবং পুরো শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায়”।

খবর: বিবিসি বাংলা।