স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডেঃ প্রায় দুই যুগ পর রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ঘিরে উজ্জীবিত ছিল নেতাকর্মীরা। সম্মেলন ঘিরে বিলবোর্ড, ফেস্টুন, পোস্টারে ছেয়ে ছিল পুরো শহর।
কিন্তু শহরের কোথাও ছিলনা নবনির্বাচিত সভাপতি শওকত হাসানের কোন বিলবোর্ড, ফেস্টুন।সবচে বড় বিষয় হলো তিনি সভাপতি প্রার্থীও ছিলেন না।তিনি সিভি জমা দিয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে।কোন রকম আলোচনায়ও ছিল না শওকত হাসানের নাম।কিন্তু পুরো রাজবাড়ীকে অবাক করে শওকত হাসানকেই সভাপতি করে কেন্দ্রীয় নেতারা দিলেন নতুন কমিটির ঘোষণা।
প্রায় দুই যুগ পরে শনিবার (৪মার্চ) রেলওয়ে মাঠে রাজবাড়ী জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।পরে রাজবাড়ী পৌর সভার হল রুমে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী ৩ বছরের জন্য মোঃ শওকত হাসানকে সভাপতি ও মোঃ নরুজ্জামান মিয়া সোহেলকে সাধারণ করে রাজবাড়ী জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
শওকত হাহাসন পারিবারিক ভাবেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।তিনি পরিচ্ছন্ন সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্ব রাজনৈতিক নেতা হিসেবেই তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
জনশ্রুতি রয়েছে রাজনৈতিক জীবনে কখনো দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাননি তিনি।গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নিজের বিজয় নিশ্চীত যেনেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও প্রত্যাহার করে নেন দলের প্রতি অনুগত্ব ও ভালোবাসা দেখিয়ে।
পরে রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে মাত্র ৪ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এর পরেও বিন্দু মাত্র বিচলিত হননি শওকত হাসান।দলের সকল কর্মকাণ্ডে হাসি মুখেই অংশ গ্রহন করেছেন দক্ষ পরিশ্রমী স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন এই রাজনীতি বিদ।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, নেত্রীর প্রতিটি নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।পারিবারিক জন্ম সূত্র থেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। যারা যারা উনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করেছেন তারাই একদিন বলবেন উনিই ভালো মানুষ এমনাটাই মনে করেন শওকত হাসানের কর্মী সমর্থকরা।
প্রথম অধিবেশনে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল হক চৌধুরী রাসেল সহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য আকবর আলী মর্জি, রেজাউল হক রেজা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সালমা চৌধুরী রুমা, এমপি এ্যাডঃ খোদেজা নাসরিন আকতার হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ডা. আওরঙ্গজেব আরু, ইয়াছির আরাফাত রামিম, রেজা ই রাব্বী, আশরাফুল ইসলাম রতন প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, প্রকাশনা সম্পাদক জহির উদ্দিন মিলটন, আইটি সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, উপ দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার সাহাজাদাসহ অনকেই।
সর্বশেষ ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘ ১৮ বছর আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছিল জেলা যুবলীগ।
নতুন এই কমিটিকে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।