রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ী শহরের চরলক্ষীপুর এলাকা থেকে শিপন সেখ (১৭) নামে বাসের হেলপারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিপনের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
০৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে নুরু মিয়ার ইটের ভাটার পাশের একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়।
শিপনের মা সাবিয়া বেগম জানান, ১৫ দিন আগে পাশের সিআইডি পুলিশের সদস্য হাসানের নির্মাণাধিন বাড়ীর পানির মোটর চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনার পর বাড়ী মালিক হাসান শিপনকে সন্দেহ করে। এলাকার কিছু ছেলেকে জানায় সিআইডি হাসান। পরে স্থানীয় কমিশনার মিজানের ছেলে হাবিব, আকরাম পুলিশের ছেলে নাদিম গত বৃহস্পতিবার আমার ছেলেকে মারধোর করে ভয়ভিতি দেখায়। পরে বৃহস্পতিবার থেকে শিপন আর বাড়িতে আসে নাই।
নিহতের বড় ভাই মোঃ মিজান শেখ জানান, সিআইটি পুলিশের সদস্য হাসানের বাড়ির মোটর চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো। পরে হাসান আমাদের কে ভয় দেখানো শুরু করে। পরে ভয়ে আমরা গত ০৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন সহ শিপনকে নিয়ে ওই হাসানের বাড়িতে যায়। শিপন বাড়ী মালিকের কাছে মোটর চুরির কথা স্বীকার করে। সেই সাথে তার সহযোগি একই গ্রামের শান্ত রাকির, সোহান, আদর ও সোহানুরের নাম বলে দেয়। পরে বাড়ির মালিক হাসান তখন বলে আমার মোটর যেভাবেই হোক তাকে যেন ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে তুই বাচঁতে পারবি না। রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিপন তার মোবাইল ফোনে টাকা লোড দেয়ার জন্য বাড়ীর বাইরে যান। তবে তার পর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আজ বুধবার ভোওে বাড়ীর পাশে একটি জঙ্গলে একটি কড়ই গাছের ডালে শিপনের লাশ ঝুলছে।
এ বিষয়ে সিআইডি পুেিলশর সদস্য কনেস্টবল হাসানের সাথে মোবাইল- ফোনের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি প্রথমমে ফোন ধরে বলেন আমি মানিকগঞ্জ আছি একটু পরে আমিই ফোন করছি। কিন্তু তিনি আর ফোন করেনি। সর্বশেষ রাত ১০টা ১৬ ও ১০টা ৫৪ মিনিটে ০১৭১৮-২১২২৪২ মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আতœহত্যা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর সঠিক কার বলা যাবে যে শিপন আতœহত্যা করেছে না কি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এবিষয়ে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মিজানুর রহমান জানান, তিনি চুরির ঘটনার বিষয়ে আজকেই শুনে ছেছেন। এর আগে এমন চুরির কোন ঘটনা তিনি শুনেন নি। তার ছেলে হাবিব ঢাাকায় থাকে সে বৃহস্পতিবার বারে চুরির বিষয়ে শিপনকে মারধোর করেছে কিনা আমার জানা নেই।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুরুত হাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।