কাজী তানভীর মাহমুদ, রাজবাড়ী টুডে : দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে শীতের ঘন কুয়াশায় কোনোভাবেই ফেরি চলাচল করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। তিনি বলেন, ‘শীতে ঘন কুয়াশায় ফ্রগ লাইট কোনও কাজ করে না। গাড়িতেও যে ফ্রগ লাইট লাগানো হয় সেটিও কিন্তু ঘন কুয়াশায় মধ্যে দূরে কাজ করে না। তবে গত শীতের অভিজ্ঞতায় এবারের শীতে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে এই দুই মন্ত্রী দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছান। পরে তারা স্পিডবোটে চড়ে দৌলতদিয়ার ফেরি ও লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, জেলা প্রশাসক জিনাত আরা, পুলিশ সুপার সালমা বেগম, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মণ্ডল।
পরে দৌলতদিয়া রেস্ট হাউজে পুলিশের গার্ড অব অনার শেষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দুই মন্ত্রীর সামনে দৌলতদিয়া ও ইলিশা ফেরি ঘাটের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বিআইডব্লিউটিএ।
আলোচনা শেষে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের সার্বিক চিত্র দেখতেই আমাদের দৌলতদিয়া পরিদর্শনে আসা। তবে দৌলতদিয়া ঘাটের নদী ভাঙন রোধে নৌ মন্ত্রণালয়, সড়ক বিভাগ ও পানি বিভাগ এই তিন মন্ত্রণালয় আগামী ১৪ তারিখে বসে ঘাট প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ঘাটের ভাঙন রোধের আবশ্যকতা আমরা উপলব্ধি করেছি।’
পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটের গুরুত্ব অনেক। তাই এই ঘাটকে সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। নদীর গতি পরিবর্তন হওয়ায় ভাঙন ধরেছে। তাই ভবিষতে নদী ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’