স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার অভিযোগ।
১৮ জুন মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের চরমদাপুর ও বৃগোপালপুর গ্রামের বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা পরাজিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের কমপক্ষে ২০টি ঘরবাড়ী ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরাজিত প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকি হক। আজ ১৯ জুন বুধবার বিকেল সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িঘর পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পরাজিত প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকি হক জানান, মঙ্গলবার কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে আলীমুজামান চৌধুরী টিটো বিজয়ী হন। নির্বাচনের দিন মঙ্গলবার রাতে ফলাফল ঘোষনার কয়েক ঘন্টা পার হতে না হতেই রাত ১০টার দিকে টিটোর সমর্থক অত্র এলাকার ওছাই ও আকাই তার বাহিনী নিয়ে আমার কমী সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০টি বাড়িঘর ভাংচুর করেছ। এবিষয়ে কালুখালী থানা পুলিশকে ফোনে এ ঘাটনার বিষয়ে জানিয়েছি। পরে কালুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পরাজিত নুরে আলম সিদ্দিকী হক আরো বলেন, নির্বাচনের আগে থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টিটো চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনী তার অন্ত ১৫-২০ জন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করেছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মদাপুর ইউনিয়নে গত রাতে কর্মী ও সমর্থক ভাঙচুর হওয়া বাড়িঘর সরেজমিনে দেখে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের ক্ষয়ক্ষতি হওয়া বাড়ি ঘর মেরাত ও আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে শান্তনা দেন নূরে আলম সিদ্দিকী হক।
পরাজিত প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকি হকের সমর্থক চরমদাপুর গ্রামের মোঃ ওসমানের, বৃগোপালপুর ৫নং ওয়ার্ডের মোঃ রেজাউল, কৃষক মোঃ কালাম, কৃষক মোঃ শরিফুল ইসলাম সহ ২০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয় মদাপুর বাজারের ওহাব, রফিক, শাহিন, মেহেরের দোকেও অতিরিক্ত তালা মেরে রেখেছিল দূবৃত্তরা।
মদাপুর বাজারের বনিক সমিতির সহ সভাপতি মোঃ ইসরাত হোসেন, জানান, সকাল ৮টার দিকে বাজারে এসে দোকান খুলতে গিয়ে দেখা যায় যে কয়েক জনের দোকে অতিরিক্ত কিছু তালা দেওয়া আছে। পরে আমরা বাজারে দোকানদার সবাই মিলে ঐ তালা গুলো ভেঙ্গে দোকান খুলে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে কালুখালি থানার এসআই মোঃ মাহবুব জানান, কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের থানায় এসে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছ। কিন্ত এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।
তবে অপ্রতিকর ঘটনা এরাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহীনিকে কঠোর ভাবে কালুখালি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে।