স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডেঃ রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।এ সময় ২০/২৫টি বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়।
গত ২৮ নভেম্বর রবিবার রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করার পরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি হামলার শিকার হওয়া পরিবার গুলোর।
এলাকাবাসী ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টায় মাঝবাড়ি ইউনিয়নের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলামের্ (নৌকার) সমর্থকেরা এলাকায় একটি বিজয় মিছিল বের করেন।মিছিল শেষে পরাজিত স্বতন্ত্র (আনারসের) প্রার্থী মোঃ ইউসুফ হোসেনের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালান।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আনারসের সমর্থকেরা জীবনের ভয়ে পালিয়ে যায়।এখন কয়েকটি গ্রাম প্রায় পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে।আহত ব্যক্তিদের কালুখালি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই ইউনিয়নে অতিরিক্ত পুলিশে মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী টিপুর বোন নুপুর বলেন, ২৮ নভেম্বরের নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় হঠাৎ নৌকার সমর্থনকারী আফতাব মাস্টার, ও তার দুই ছেলেসহ ৫০ থেকে ৬০ জন সমর্থক তাঁদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা হুমকি দেন, নৌকার বিরুদ্ধে আনারসের পক্ষে নির্বাচন করিস তোদের এত সাহস।তাঁদের (ইউসুফের সমর্থকদের) পরে আবার দেখে নেবেন।
৮ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত মেম্বার মোহাম্মদ আক্তার হোসাইন বলেন, রাতের আধারে কে বা কারা চরশ্রীপুর,খামার বাড়ি ও চরকুলটিয়া এলাকার কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।তবে যারা এ হামলা চালিয়েছি তাদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয় (আনারসের) প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচন হয়ে গেছে। জনগণ যাঁকে বেছে নিয়েছেন, তিনি জয়লাভ করেছেন। কিন্তু কাজী শরিফুল ও তাঁর লোকজন দিয়ে (টিপুর বাড়িসহ ১০–১৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেছেন।তাঁর কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। তাঁর সাতজন কর্মী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বিষয় আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী(নৌকার) কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচন গেছে। জনগণ আমাকে বেছে নিয়েছেন আমি জয়লাভ করেছি।বাড়িঘর ভাংচুরের বিষয়ে তিনি বলেন তার কোন সর্থক কারো বাড়িঘরে হামলা বা কাউকেই আহত করেননি।আনারসের সমর্থকদের মধ্যে কিছু ঝামেলা আগে থেকেই ছিল।সেই ঝামেলার কারনেই তারা নিজে নিজেরাই এঘটনা ঘটিয়েছেন।আর নাম দিচ্ছেন নির্বাচনী সহিংসতা।
এবিষয়ে কালুখালি থানার এসআই রুপন চন্দ্র সরকার জানান, মাঝবাড়ি ইউনিয়নের চরশ্রীপুর গ্রামের টিপু নামে এক যুবক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।সে খানে টিপুর বাড়ি ঘর ভাংচুর প্রথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে তবে এটা নির্বাচনী বিষয়কি না তা এখনো জনতে পারি না।তবে সেটা যে ভাবেই ঘটে থাকুন না কেন তদন্ত করে দৌষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অপরাধী যেই হোক কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।