ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে কেউ জঙ্গিবাদে ঝুঁকবে না: প্রধানমন্ত্রী

কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলে কেউ আর জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকবে না জানিয়ে দেশে শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ২০১১-২০১২ ও ২০১২-২০১৩ বছরের জন্য সর্বমোট ১১৩টি জাতীয় রফতানি ট্রফি ও সনদ বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ৫২টি স্বর্ণ, ৩৭ রুপা, ২৪ ব্রোঞ্জ ট্রফি রয়েছে।

শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বাজার খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনারা নতুন নতুন বাজার খুঁজে বেড়ান। কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা সেটা বিশ্লেষণ করে বাজার খুঁজুন। নতুন বাজার খুঁজে নিজেদের বের করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সীমিত পণ্যের ওপর দেশের রফতানি নির্ভরতা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম দুর্বলতা। রফতানি বাণিজ্যের এ সমস্যা দূর করার জন্য পণ্য তালিকায় নতুন নতুন পণ্যের সংযোজন এবং কম অবদান রাখছে- এমন পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দাটা যদি না হতো, আমাদের রফতানির টাকার অংকটা আরও বেশি হতো বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি বন্দি হওয়ার পর কারাগারে বসে থাকিনি। ওখানে বসেই নির্দিষ্ট একটি কর্মসূচি লিখে ফেলি। যদি আমরা সরকারে যাই, তাহলে কোন সালে আমরা কী করব, দেশকে কোথায় নেব, তার একটা রূপরেখা তৈরি করি।

তিনি জানান, কারামুক্তির পর ওই রূপরেখার উপর ভিত্তি করে নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করেন। আর ক্ষমতায় আসার পর তার সরকার ব্যবসায়ীদের সবরকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ের জন্য আসিনি। ব্যবসায়ীদের সবরকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছি। আমরা নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে থাকতে চাই না।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মরফুহা সুলতানা প্রমুখ।

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে কেউ জঙ্গিবাদে ঝুঁকবে না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেটের সময় : ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৬

কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলে কেউ আর জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকবে না জানিয়ে দেশে শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ২০১১-২০১২ ও ২০১২-২০১৩ বছরের জন্য সর্বমোট ১১৩টি জাতীয় রফতানি ট্রফি ও সনদ বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে ৫২টি স্বর্ণ, ৩৭ রুপা, ২৪ ব্রোঞ্জ ট্রফি রয়েছে।

শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বাজার খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আপনারা নতুন নতুন বাজার খুঁজে বেড়ান। কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা সেটা বিশ্লেষণ করে বাজার খুঁজুন। নতুন বাজার খুঁজে নিজেদের বের করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সীমিত পণ্যের ওপর দেশের রফতানি নির্ভরতা দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম দুর্বলতা। রফতানি বাণিজ্যের এ সমস্যা দূর করার জন্য পণ্য তালিকায় নতুন নতুন পণ্যের সংযোজন এবং কম অবদান রাখছে- এমন পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দাটা যদি না হতো, আমাদের রফতানির টাকার অংকটা আরও বেশি হতো বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি বন্দি হওয়ার পর কারাগারে বসে থাকিনি। ওখানে বসেই নির্দিষ্ট একটি কর্মসূচি লিখে ফেলি। যদি আমরা সরকারে যাই, তাহলে কোন সালে আমরা কী করব, দেশকে কোথায় নেব, তার একটা রূপরেখা তৈরি করি।

তিনি জানান, কারামুক্তির পর ওই রূপরেখার উপর ভিত্তি করে নির্বাচনের ইশতেহার তৈরি করেন। আর ক্ষমতায় আসার পর তার সরকার ব্যবসায়ীদের সবরকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ের জন্য আসিনি। ব্যবসায়ীদের সবরকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছি। আমরা নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে থাকতে চাই না।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মরফুহা সুলতানা প্রমুখ।