খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী টুডে: আওয়ামী লীগ করেই সারাজীবন কাটিয়ে দিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর তৎকালীন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক গণপরিষদের সদস্য মরহুম কাজী হেদায়েত হোসেনের মেজ ছেলে কাজী ইরাদত আলী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বরণের মাত্র ৩ দিন পর ১৮ আগস্ট তার পিতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী চত্রু। পিতার মৃত্যুর পর নিজ সংসার ও দলের হাল ধরেন তিনি। নিজেই কাধে তুলে নেন দায়ীত্ব।হাল ছাড়া নৌকার মাঝি হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করেন।আওয়ামীলীগ সহ রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় গোপনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সংগঠিত করার কাজে নিয়োজিতকালীন দল পূণর্গঠনের সময় হইতে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগ সহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পূণর্গঠনের কাজে আজও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
রাজবাড়ী ১ আসনের দুটি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে বসবাসকারী অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছিলেন ঠিক সেই সময় থেকে মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরন শুরু করেন কাজী ইরাদত আলী।তাছাড়াও যারা আত্বসম্মান বোধের কারনে কারো কাছে যেতে বা চাইতে পারেনি।এমন নীরবে অসংখ্য মানুষের পাশে দাঁড়ান খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা পৌঁছে দেন চুপিসারে।
এমন ত্যাগি নেতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের বিভিন্ন মতামত প্রকাশের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে তার কর্মকাণ্ডের চিত্র ও মানুষের ভালোবাস বহির প্রকাশ। এমন কিছু ফেসবুকের লেখা মতামত তুলেধরা হলো পাঠকদের জন্য।
রাজবাড়ীর তথা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে কাজী ইরাদত আলী একটি নাম নয় একটি প্রতিষ্ঠান। জন বান্ধব ও কর্মী বান্ধব হিসেবে নিজেকে প্রমান করে ক্রান্তিকালে নিজেকে প্রমান করেছেন একাধিকবার। দলকে টিকিয়ে রেখেছেন দুর্দিনে।
করোনা ভাইরাসের ক্রান্তিকালে আপনি যা করেছেন তাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আপনার একটি অবস্থান অবস্যই তৈরি হয়েছে।এ ছাড়াও রাজবাড়ীর খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের জন্য আপনি যে ভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করেছেন।এখনো করে যাচ্ছেন।দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে যে ভাবে বটগাছের মত ছায়া দিয়ে রেখেছেন।নেতাকর্মীদের লিখুনিতেই তা ফুটে উঠেছে।
যে যাই লিখুক না কেন আপনার জনপ্রয়িতা নষ্ট করতে পারবে না। কারণ এই করোনা ভাইরাসের মহামারিতে মানুষের দূসময়ে আপনিই আছেন।
রাজবাড়ী বাসীর নিরাপত্তা ও দেশ বাঁচানোর নিমিত্তে আপনার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে আপনার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস কে আরও বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। জন মানুষের কল্যানে দীর্ঘদিন ধরে আপনার গৃহীত বিভিন্ন কল্যাণমুখী কর্মকান্ড এবং সুবিধাঞ্চিত- অসহায়- নিপীড়িত মানুষের জন্য আপনার সাহায্য সহযোগিতা রাজবাড়ী তে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সারাজীবন নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন আমার নিজের ও আমাদের সংগঠনের খেত্রেও এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি। আমি নিজেও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি এই বিশেষ ব্যাক্তিত্ব টি কে। আপনার সাথে আমার যোগাযোগ না থাকলেও আমি আপনার অনেক খবরই রাখি। আপনার প্রতিটি কর্মকাণ্ডে রয়েছে আমার শুভদৃষ্টি।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে হেফাজতে রাখুন।
সুস্থ্যতা -সন্মান ও ভালোবাসার সাথে মানুষের হৃদয়ের মাঝে বেঁচে থাকেন আমৃত্য….অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর নিজস্ব অর্থায়নে:
অসহায় মানুষের সেবায় করার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ জেলায় থেকে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে রয়েছেন, সেনাবা বাহিনীর দায়ীত্বে থাকা ১হাজার আইসোলেসন বেড এর মধ্যে ৫শত বেডের বালিশ থেকে শুরু করে খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন, দোকান পাট বন্ধ থাকায় অনাহারে থাকা কর্মচারীদের কে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, আইন জীবিদের সহকারীদের আর্থিক সহায়তা করেছেন।রাজবাড়ী ১ আসনের গোয়ালন্দ ও রাজবাড়ী সদরের ১৪টি ইউনিয়নের মানুষের মাঝে নিজ অর্থ ব্যয় করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন, রাজবাড়ীতে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য একশত পিস পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) প্রদান করেছেন, কোভিড-১৯ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং এই ভাইরাসটি থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে রাজবাড়ী বাজারের দোকান ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মাঝে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নিজে উপস্থিত থেকে সুরক্ষা দাগ এঁকে দিয়েছেন, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক গোল্ডেশিয়া জুট মিলস্ লিমিটেড বন্ধ থাকায় কর্মহীন ৮০০ শ্রমিক এবং ২০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেছেন।