স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডে : রাজবাড়ীতে ছাত্রী (১৮) কে রাতের আঁধারে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ এনে গত ৩ জুলাই বুধবার বিকালে তালেব শেখ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দাযয়ের করেন ঐ ছাত্রীর বাবা।
এদিকে অভিযুক্ত তালেব শেখ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অ-শিকার করে বলেন, আমি এধরনের কোন কাজের সাথে জড়িত নয় আমাকে ফাসানোর জন্য জন্য একটি চক্র ঐ মেয়ের বাবাকে দিয়ে এমন ঘটনা সাজিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঐ মেয়ে আমার প্রতিবেশি নাতনি হয়। আমার বাড়ি ও তার বাড়ি রাস্তার এ পার ও পার। মেয়ের বাবার সাথে আমার পারিবারিক ভাবে জমিজমা নিয়ে কিছু ঝামেলা আছে। কাছাড়ও আমি এলাকার বিচার আচার করি। এর আগে ঐ মেয়ের ভাইয়ের ছেলে একটি শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে ছিল। যদিও ছেলেটাও ছোট ছিল। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটার পরে দুই পক্ষই আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসে। পরে দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার আরো বেস কয়েক জন মুরবিদের নিয়ে একটি শালিশ করা হয়। সে শালিয়ে ঐ মেয়ের ভাইএর ছেলে অভিযুক্ত প্রমানিত হলে তাকে কিছু শাস্তি দেওয়া হয়। তার পর থেকেই তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে পরে। বিভিন্ন ভাবে আমাকে হেউ প্রতিপূর্ণ করার জন্য না রকম ভাবে চেষ্টা করে আসছিল। সর্ব শেষ গত ৩০ তারিখে একটি নাটক সাজিয়ে আমাকে এলাকায় বদনাম করার জন্য আমার নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলাদিপুর গ্রামের আখ সেন্টার এলাকার সাফাজউদ্দিন শেখের ছেলে তালেব শেখ (৬০)।
তবে ঐ ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ের সস্তান থাকা স্বত্বেও বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে তাকে বিভিন্ন সময়ে যৌনহয়রানী করে আসছে তালেব কেষ।
ঐ ছাত্রীর বাবার দাবি এমন ঘটনার শুরুর দিকে ছাত্রী তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিল। পরে তারা তালেব শেখের পরিবারের কাছে বিষয়টি অবহিত করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটানোর অনুরোধ জানান। কিন্তু তাতেও শান্ত হয়নি তালেব শেখ।
তালেব শেখ ঐ ছাত্রীকে প্রায় ১০০ টি হাতে লেখা চিঠির মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে গভীর রাতে দেখা করতে বলতো। চিঠি না নিলে তার ভাইদের মেরে ফেলার ভয় দেখাতো বলে দাবি ঐ ছাত্রীর বাবার।
কিন্তু এদিকে চিঠির বিষয়ে তালেব শেখ বলেন, আমি লেখাপড়া জানি না। নিজের নামটা কোন রকম লিখতে পারি। ১০০টি চিঠি আমি কি ভাবে লিখবো। আর আমি কি ২৫বছরের যুবক যে ১৭/১৮বছরের একটি মেয়েকে চিঠি লিখবো। আবার চিঠি লেখাও তো জানতে হবে নাকি। সত্যি কথা হলো ঐ মেয়ে ও তার পরিবার আমার উন্নতি দেখে তাদের চোখে সইছে না। তাই আমার বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর কথা বার্তা বলছে। তিনি চিঠির বিষয়ে বলেন, যে সকল চিঠি আমার লেখা বলে দাবি করেছে তারা এই চিঠি আমার লেখা কি না সেটা প্রমাণ করুক। আপনি সাংবাদিক আপনিই সঠিক তদন্ত করে দেখেন আমি এধরনের কাজের সাথে জড়িত কি না। যদি আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পান তাহলে আমাকে যে শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নিব।
ঐ ছাত্রীর সাথে থানায় কথা হলে সে জানায়, “স্কুলের যাওয়ার সময় তালেব মাঝে মধ্যেই রাস্তা আটকিয়ে আমার হাত টেনে ধরে ভয়ভিতি দেখাতো। এরপর থেকে আমি স্কুলে যেতে ভয় পেতাম। এক পর্যায়ে এসএসসি পাশ করার পর কলেজে ভর্তি পরিক্ষা দিয়েও ভর্তি হওয়ার সাহস পাচ্ছি না। আমি এই সকল ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ছাত্রীর এমন অভিযোগের বিষয়ে তালেব শেখ বলেন, আমি একজন বৃদ্ধ মানুষ ৬০ বছর বয়সী। ছেলে মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। আমার দাড়ায় কি এমন কাজ করা সম্ভব। আমি কখনো তার স্কুলে যাওয়ার পথ আটকে তার হাত ধরিনি। সে সম্পর্কে আমার প্রতিবেশী নাতনি হয়। তার সাথে না না নাতনি হিসেবে হয়তো হাসি রহস্য করে থাকতে পারি তা ও সেটা আমার স্ত্রীর সমানে। আমার নামে এমন মিথ্যে অভিযোগ আনবে আমি ভাবতেও পারিনি।
ঐ ছাত্রীর ভাবি রাফেজা বেগম জানান, গত সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে তার ননদ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। এসময় পাট কাঠি দিয়ে কেউ একজন তাকে খোঁচা দেয়। সে সময় ঘরে তার ননদ ও তার ১২বছর বয়সী ছেলেসহ ৩জন ঘুমিয়ে ছিল। আর ঐ স্কুল ছাত্রীর তার ননদ ছিল মাঝ খানে। ওই সময়ই তার শ্বশুড় টের পেয়ে দ্রুত ঘরের বাইরে গিয়ে প্রথমে চোর চোর পরে তালেব তালেব বলে চিৎকার করে। তার চিৎিকার শুনে আমি ও আমার স্বামী ঘর থেকে বের হই। পরে তার শ্বশুড়র জানান, যে তালেব ঘরের ডোওয়ার নিজ দিয়ে কাঠি দিয়ে খোচাঁ দিচ্ছিল। তিনি তালেকে জড়িয়ে ধরে রেখে ছিল কিন্তু সে তাকে ঘুসি মেরে পালিয়ে যায়।
রাতের আধারে ঐ ছাত্রীর ঘরে পাট কাঠি দিয়ে খোচাঁ দেওয়ার বিষয়ে তালেব শেখ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তারা করছে আর যে সময় বলছে। সে সময়ে আমি ছিলাম রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে স্ত্রীর কাছে। আমার স্ত্রী বেস কিছু দিন যাবত অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাই আমি রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে ছিলাম। এই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য এমন নাটক সাজানো হয়েছে।
ছাত্রীর বাবা জানান, “আমরা গরীব মানুষ। তালেব শেখ অনেকদিন যাবত আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছে। আমরা নিষেধ করার পরেও মাঝে মাঝেই সে যৌন হয়রানির চেষ্টা করতো। তিনি আরও জানান, “গত সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে আমার মেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। হঠাৎ মেয়ের চিৎকার শুনে আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে ঘরের বাইরে গিয়ে তালেব শেখকে দেখতে পাই। আটক করতে গেলে আমাদের দেখে তালেব শেখ দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার দিন রাতে অভিযুক্ত তালেব শেখকে ঐ ছাত্রীর বাবা ছাড়া প্রতিবেশীরা কেউ দেখেনি। এবিষয়ে এলকার একাধীক ব্যাক্তি বলেছেন তারা ঐ ছাত্রীর বাবার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে দেখতে পাননি।
তবে এদিকে ছাত্রীর মা জানান, “তালেব শেখ আমার মেয়ের জীবনটা ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত। মেয়ের নামে মিথ্যে কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছে। এক সময় মেয়েকে বিবাহ দিতে হবে। তালেব শেখ চিঠির মাধ্যমে মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। রাতের আঁধারে আমার মেয়েকে পাট কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে জাগানোর চেষ্টা করছে। ঐ ছাত্রীর মা আরও জানান, “পথে ঘাটে তালেব শেখ আমার মেয়ের হাত টেনে ধরে। রাতের বিভিন্ন সময় ঢিল ছোঁড়ে। মেয়ে গোসল করতে গেলে গোপনে দাঁড়িয়ে থাকে তালেব। এটা এক প্রকার যৌন হয়রানি। আমার ছেলেদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি তালেব শেখের উপযুক্ত বিচার চাই”।
ছাত্রী বড় ভাই জানান, “তালেব শেখকে আমরা মুরব্বি হিসেবে খুব সন্মান করতাম। কিন্তু তিনি সেই সন্মানের জায়গা নষ্ট করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, “তালেব শেখ তার বোনকে প্রায় ১০০ চিঠি দিয়েছে। চিঠি না নিলে আমাকে মেরে ফেলা হবে তাই আমার বোন বাধ্য হয়ে চিঠিগুলো নিয়ে আমার হাতে দিতো। চিঠিতে হুমকিসহ বিভিন্ন আজেবাজে কথা লেখা থাকতো। আমরা অসহায় গরীব মানুষ। তালেব শেখ আমার বোনের সাথে যা কিছু করেছে আমি তার বিচার চাই।
সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া যায়
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার আলাদিপুর গ্রামে ৬০ বছরের বৃদ্ধ‘র বিরুদ্ধে অভিযোগ স্কুল ছাত্রীকে যৌনহয়রানী করার।
কিন্তু এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ঐ ছাত্রীর পরিবারকে মামলা করেত বাধা দিচ্ছে। তাদের ভয়ে নাকি মেয়েটির পরিবার থানায় যেতেও ভয় পাচ্ছে এমন অভিযোগ শোনার পরে।
সাংবাদিক খন্দকার রবিউল ইসলাম মেয়ের ভাইকে ফোন করে তার কাছ থেকে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার বিবরণ শুনেন। পরে মেয়ের ভাইকে বলেছেন, আপনারা চিন্তা করবেন না আমি আছি আপনাদের পক্ষে থানায় আসেন আমি বসে থেকে মামলা করিয়ে দিব।
মেয়ের ভাই এর সাথে কথা বলার পরে ঘটনার সত্যতা যাই করতে সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে এবষিয়ে প্রথমে কথা হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ও জেলা পরিষদের সদস্য নাজমুল হাসান মিন্টু র সাথে তিনি বলেন, এমন ঘটনার বিষয়ে মেয়ে পক্ষ কোন সাক্ষী দিতে পারেন নি। প্রতিবেশির সাথে কথা বলেও কোন সত্যতা পাওয়া যায় নি। উল্টো তালেব শেখ তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে বিচার চেয়েছিল আমার কাছে। আমি তাকে দু এক দিনের মধ্যে বসে সমাধান করা করা কথা বলেছিলাম।
ঐ ছাত্রীর বাবার অভিযোগ ৬০ বছর বয়সী তালেব নামে এক প্রতিবেশী তার মেয়েকে রাতের আধারে পাট কাঠি দিয়ে খোঁচা দিয়ে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করছিল। তবে মেয়ে টের না পেলেও তিনি টের পান। পরে বাইরে এসে তালেব তিনি জাপটে ধরেন।
তিনি চিৎকার করেন প্রথমে চোর চোর করে। পরে তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তিনি বলেন তালেব আইছিল। কিন্তু তখন নাকি তালেব তাকে ঘুষি মেরে পালিয়ে যায়।
১ ভাবলাম মিন্টু সাহেব তিনি জনপ্রতিনিধি হয়তো কারো পক্ষ নিচ্ছেন। তাই নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে এবিষে প্রতিবেশিদের সাথে কথা হলে তারা জানান তার চিৎকার শুনেছি কিন্তু সে খানে কাউকে দেখেন নি তারা।
২ কিভাবে তালেব মেয়ে টিকে পাঠকাঠি দিয়ে খোঁচা নোর চেষ্টা করছে দেখতে চাইলাম ঐ ছাত্রীর ভাবি বেস অভিনয় করেই দেখালেন। যে ভাবে ঘুমিয়ে ছিল মেয়েটি সহ ৩জন একটি চোকিতে ঠিক সেভাবেই একজনকে চকিতে শোয়া নো হলো।
রিতিমত ভাবি বনে খেলেন অভিযুক্ত তালেব একটি কুনচি নিয়ে বেড়ার নিচ দিয়ে খোঁচা নো শুরু করলেন খোঁচা গিয়ে লাগছে ছেলেটির মাজা সোজা।
৩ কিন্তু ছেলেটিকে যখন প্রশ্ন করেছিলাম সে বললো আমি মাথার ডান পাশে ব্যাথা পেয়েছি।
পয়েন্ট:
খোঁচা লাগলো মাজায় ব্যথা পেলো মাথার ডান পাশে এখানেই প্রশ্ন হয় কিনা আপনারাই বলেন ?
তালেব শেখের বক্তব্য যে দিন ঘটনার কথা বলা হয়েছে সে দিন তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন। বাড়িতে এসেছেন রাত ১টায়। আর এমন ঘটনা ঘটেছে ১২টায় মেয়ের বাবার দাবি।
তালেব বলেন এই ঘটনা নিয়ে যখন মেয়েটির বাবা বিভিন্ন কথা এলাকায় ছড়িয়ে আমাকে অপমানিত করার চেষ্টা করছে তখন আমি চেয়ারম্যান ও তার ভাই মিন্টু র কাছে বিচার দিয়েছি। আমার তদন্তে যা পেয়েছি তাই তুলে ধরলাম এখন বিচার আপনাদের পাঠকদের কাছে।
এবিষয়ে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী বলেন, এঘটার বিষয়ে পেয়ে পক্ষ আমাকে জানিয়ে ছিল এবং তারা তালেব শেখের সাথে বসে মিমাংশা করার কথা বলে ছিল। পরে আমি তাদের ৪জুলাই বৃহস্পতিবার বসার কথা বলে ছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষ বসার আগের দিন থানায় ৩জুইল থানায় অভিযোগ করেছে।
রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার জানান, ঘটনার বিষয়ে ৩ জুলাই বুধবার বিকালে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরে তালেব শেখকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। মামলা নাম্বার -৪/-৩-২০১৯ ইং।