স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডেঃ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতীক) এর কর্মী-সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা ও মােটরসাইকেল ভাঙচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রার্থী ইউসুফ মোল্লা।
১৯ নভেম্বর শুক্রবার প্রার্থীর নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত
সংবাদ সম্মেলনে একটি লিখিত বক্তব্য পাট করেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসসালামু আলাইকুম। আমি মােয় ইউসুফ হােসেন মােল্লা। আসন্ন ইউনিয়ন পৱিষদ নির্বাচনে আমি মাজবাড়ী ইউনিয়ন থেকে
অস্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছি। আমার নির্বাচনী প্রতীক আনাৱস। আমি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণ করে আমার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছি। এলাকার সাধারণ ভােটাৱৱাও আমার পক্ষে রয়েছে। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, গতকাল ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা রাতে আমার কর্মী-সমর্থকগণ মাজবাড়ী ইউনিয়নের চর কুলটিয়া গ্রামে ভােট চাইতে গেলে আমার প্রতিদ্বন্দী নৌকার প্রার্থী কাজী শরিফুল ইসলাম, তার ভাই কাজী সাইফুল ইসলাম একদল অজ্ঞাত অস্ত্রধারী শ্রাসী বাহিনী দ্বারা আমার কর্মী-সমর্থকদের পথরােধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। আমার কর্মীরা একপার্শ্বে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করা কালে অপর প্রান্তে অস্ত্রসহ সুসজ্জিত একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মােবাইলে ভিডিও ধারণ করে। সেখানে স্পষ্ট দেখা ও শােনা যাচ্ছে তারা বলছে ঘ বের কর। আমার কর্মীরা অন্য কোন পথে ফিরে আসতে না পারায় আমার অসহায় কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার পাঁচজন কর্মী গুরুতর আহত হন। তারা বর্তমানে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিসাধীন রয়েছে। এছাড়াও তারা আমার কর্মীদের ৮/১০ টি মােটরসাইকেল ভাঙচুর করে। সাংবাদিক বন্ধুগণ, আপনারা জানেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘােষণা দিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে আমি মাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এলাকায় আমার ব্যাপক
জনসমর্থন রয়েছে। আমার জনসমর্থন দেখে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা এলাকায় নিয়মিত মহড়া দিচ্ছেন। তারা আমার কর্মীদের নানাবিধ ভার্ভীতি প্রদর্শন করছে। এছাড়াও সন্ধ্যার পর থেকে সন্ত্রাসী বাহিনীর লােকজন মােটর
সাইকেলযোগে অস্ত্র প্রদর্শন করে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করছে। এছাড়াও তারা বলে বেড়াচ্ছে নৌকায় ভােট না দিলে কেউ বাড়িতে থাকতে পারবি না। এ অবস্থায় আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আমার প্রতিদ্বষী নৌকার প্রার্থী কাজী শরিফুল ইসলাম চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে এলাকায় একটি চিহ্নিত গ্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। সেই সকল সন্ত্রাসী বাহিনীই তার নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এতে নির্বাচনের শান্ধিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত
হচ্ছে বলে আমি মনে করি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রশাসন যেন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভােটগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখেন। এলাকার সাধারণ ভােটাররা যেন আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে
স্বশরীরে ভোটকেন্দ্রে উপছিত তাদের ভােটাধিকার প্রয়ােগ করতে পারে। আপনাদের মাধ্যমে আমি রাজবাড়ীর মাননীয় পুলিশ সুপার মহােদয়ের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ
পরিবেশ যাতে বজায় থাকে তার সার্বিক ব্যবস্থা যেন তিনি গ্রহণ করেন। এলাকায় কোন সন্ত্রাসী যেন আতঙ্ক সৃষ্টি করতে না পারে তার পুলিশ বাহিনী দ্বারা সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য। পরিশেষে আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক
শান্ধির দাবী করছি এবং আগামী ২৮ নভেম্বর মাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় সেই ব্যবস্থা যেন প্রশাসন করেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের সংবাদ সম্মেলন শেষ করছি।
- মােঃ ইউসুফ হােসেন
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতীক)
মাজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
কালুখালী, রাজবাড়ী।