স্টাফ রিপোর্টার , রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান (৪৫) মোল্লাকে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।
চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে ০৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে অভিবাবক ও স্থানীয়রা তাকে প্রধান শিক্ষকের রুমের বাথ-রুমে আটকে রাখে পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন সময়ে সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান মোল্লা একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে শারিরিকভাবে যৌন হয়রানী করে।
বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে বুধবার দুপুরে অবিভাবকসহ স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই শিক্ষককে ৩ ঘন্টা টয়লেটে আটকে রাখে।
রাজবাড়ীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার মিয়া জানান, দুপুরে ঐ শিক্ষক নিজেই আমাদের থানায় ফোন করে। পরে তার ফোন পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পোঁছেইলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে বা-রুম থেকে বের হয়ে আসে পরে তাকে উত্তেজিত জনতার উপস্থিতিতে ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে থানায় নিয়ে আশা হয়েছে।
এবিষয়ে সূর্যনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, হঠাৎ করেই স্থায়ীরা স্কুলে এসে সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে মারধর শুরু করে। পরে আমার রুমে বসিয়ে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বাথরুমে গিয়ে বসে থাকেনন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তাছাড়া ঐ শিক্ষের নামে এধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যানি। তবে ঐ ছাত্রী অভিযোগ করেছে তাকে এর আগে ক্লাস থ্রীতে থাকা অবস্থায় হাবিবুর রহমান তার জামার ভিতরে হাত দিয়ে ছিলো তবে কতটা সত্য একমাত্র সেই ছাত্রীই বলতে পারে।
স্কুলের মেনেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মোফাছেল হোসেন জানান, ‘আমারা ঘটনা শোনার সাথে সাথে থানায় এসেছি তবে আসলে কি হয়েছে তা বলতে পারবো না হাবিবুর রহমান অবিবাহিত তাই স্থানীয়রা বলছে সে এই কাছ করেছে তার শাস্তি দাবি করেছে।আসলে সত্য কি এটা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।
এঘটানায় স্থানয়ী মেম্বার মোঃ দেলোয়ার সরদার জানান ‘আমি পদাধিকার বলে ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সস্পাদক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা কতটুকু সত্য তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।তবে মেয়ের মা-বাবা থানায় এসেছে মেয়ের সাথে কথা বললে আসল ঘটনা জানা যাবে।’
তিনি আরো বলেন যদি শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমান পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রাহন করা হবে।
মেয়ের বাবা তোরাব জানান আমার ছোট্র মেয়ে মাত্র ১০/১১ বছর এর মেয়ে ওর সাথে কি করছে এই মাষ্টার আমি কি ভাবে বলবো লোকজন বলাবলি করছে আমারা তো এখন আর মুখ দেখাতে পারবো না।
তবে স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও প্রথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে এটি একটি সাজানো নাটক আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে একটি মহল আমি এধরনের কোন কাজে লিপ্ত নই। তিনি আরো বলেন স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী আমার কাছে ৫লক্ষ টাকা দাবী করেছে। আর না দিলে ঝামেলা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। তাছারাও আমার কাছে থাকা ১০হাজার টাকা নিয়েছে।’
ঐ ছাত্রী ছদ্ধনাম…(চুমকি)সাথে কথা বললে জানায়, ‘সোমবার স্কুল চলাকালীন সময়ে স্যার আমার হাত ধরে বলছে যে আমি খাবার খাইছি কি না। আর আমি যখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি তখন স্যার আমার জামায় হাত দিয়েছিলো।’