স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডেঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামে দুই সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভাসুর সেলিমের বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত শনিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিজানপুর ইউপির-৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফরিদা বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, জমি-জমা নিয়ে ফরিদা বেগমের স্বামী মো. ফরিদ খানের সঙ্গে তার বড় ভাই গোলাম গাউছ সেলিমের (৪০) দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো।
তারই জের ধরে শনিবার সকালে হঠাৎ করে দেশীয় অস্ত্র-নিয়ে ১০/১৫জনের একটি সন্ত্রাসী দল নিয়ে ফরিদা বেগেমর উপড়ে হামলা চালায় গোলাম গাউছ সেলিম বলে জানায় আহত ফরিদা বেগম।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, গোলাম গাউছ সেলিমের নেতৃত্বে আহসান হাবিব (৩৭), বাদশা (৫০), নয়ন (২২), লিমা (২৫), পারভীন (৩৫) ও হোসনে আরা আছিয়াসহ (৪২) আরও ১০-১২ জন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফরিদ খানের বাড়িত ঢুকে তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার আড়াই বছর ও ৪বছরের দুটি শিশু কন্যাকে ছুড়ে ফেলাসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
পরে স্থানীয়রা ফরিদা বেগমকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ফরিদা বেগম বাদী হয়ে তার ভাই আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে রাজবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে ফরিদার পিতা মোঃ সাজাহান মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে ভাসুর সেলিম অত্যাচার করে আসছে।তার অত্যাচারে অতিষ্ঠি হয়েগেছে আমার মেয়ে।আজকে মেরেই ফেলতো প্রতিবেশিরা এগিয়ে না আসলে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গোলাম গাউছ সেলিম বলেন, আমি কাউকে কোনো মারধর করিনি। তবে আমি আমার ঘর উদ্ধার করার জন্য কিছু লোকজন নিয়ে যাই। আমার ঘরের মধ্যে তাদের কিছু জিনিসপত্র ছিল। সেগুলো বের করার সময় সে (ফরিদা) বাধা দেয়। এ সময় সে আঘাত পেয়ে থাকতে পারে।
রাজবাড়ী সদর থানার এসআই মাসুদ মুন্সি জানান এঘটনায় ফরিদা বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা চেষ্টা চলছে।