খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী টুডে: গঠনের জন্য কাজী ইরাদের যে অবদান,তার যে কর্মকাণ্ড সে অর্থ দিয়ে সময় দিয়ে যে ভাবে মন প্রাণ দিয়ে সংগঠনকে ভালোবাসতো।তারমত আর কেউ নেই রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগে_কাজী কেরামত আলী।
তিনি আরো বলেন, আমি রাজনীতিতে আসার আগেই সে তখন সহসভাপতি ছিল। আমাকে নিয়ে আসে সাধারণ সম্পাদক বানায়। এমপি হওয়ার পিছনেও ইরাদতের সবচে বেসি অবদান।আমি সব সময় বলি আল্লাহ পাক তাকে সুস্থ্য করে দাও।সার্বক্ষণিক তার যে ব্যস্ততা ছিল। তার যে চলা ফেরা ছিল জনগনের মধ্যে এখন তা পারে না।আমি মাঝে মধ্যে ভাবি যে সামনে যে ইলেকশন আসছে।সে যে পরিশ্রম করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে এমপি বানানোর জন্য তার যে কার্যক্রম সত্যি কথা বলতে কি আমাদের দলের কারো সেই দক্ষতা নেই। আমরা কাজী ইরাদত আলীর শুন্যতা অনুভ করি।আল্লার কাছে দোয়া করি তাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিক। সুস্থ হয়ে আবার সে সংগঠনের হাল ধরুক।
কিছু কিছু মানুষ আছেন, যারা পৃথিবীতে আসেন তাদের চারপাশের সবকিছুকে আলোকিত করার জন্য। তাদের উপস্থিতি সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে রাখে। সামাজিক কিংবা পারিবারিক বন্ধনে বেঁধে রাখেন আশেপাশের মানুষগুলোকে। পঙ্কিলতা যাদেরকে কখনো স্পর্শ করেনা। মন হয়না কখনো কলুষিত। নিষ্পাপতাই যাদের প্রধান শক্তি – ঠিক সেরকম একজন মানুষ কাজী ইরাদত আলী।
আজ রাজবাড়ীবার সকলের সুপ্রিয় কর্মীবান্ধব জননেতা কাজী ইরাদত আলীর জন্মদিন। রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের পরিবারের উঠোনে নিয়মিত পদচারন যারা করেন তারা সবাই কাজী ইরাদত আলীকে নিজের বড় ভাইয়ের মতোই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসেন।
১৯৫৭ সালের এই দিনে রাজবাড়ীতে জন্মগ্রহন করেন তিনি। কাজী ইরাদত আলী সাবেক গণপরিষদ সদস্য কাজী হেদায়েত হোসেনের দ্বিতীয় সন্তান । রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন তিনি।
রাজবাড়ীবাসী ১৯৭৫ সালের পর আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময় থেকে আজ পর্যন্ত দলীয় কার্যক্রম অব্যাহত ভাবে দক্ষতার সাথে করে চলেছেন।
তাই আজ ০৩ ফেব্রুয়ারী তার জন্মদিন সবাই মনে রেখেছেন। আওয়ামীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছা সেবকলীগ, কৃষকলীগ, পরিবারের সদস্যরা কাজী ইরাদত আলীকে সব সময় তাদের একজন অভিভাবক হিসেবে মনে করনে।তাছাড়াও দলমত নির্বিশেষে কাজী ইরাদত আলীকে একজন সমাজ সেবক পর-উপকারী হিসেবেই রাজবাড়ীর মানুষ শ্রদ্ধা করেন।সবাই আশাবাদী শুধু আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ নয়, ব্যাক্তিগত জীবনেও তিনি সবার পাশেই আছেন এবং এভাবেই থাকবেন সারাজীবন।
০৩ ফেব্রুয়ারী জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন কাজী ইরাদত আলী।মোবাইল ফোনের মেসেজ বক্স ও ফেইসবুক দুটোতেই শুধুই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
গতবছরের চেয়ে এবার তার জন্মদিনটি আনন্দময় হলেও এবার নেতাকর্মীদের মাঝে অনেকটা কষ্ট রয়েছে।গতবছরের ফেব্রয়ারী মাসের ১৮তারিখে তিনি অসুস্থ হন।তার অসুস্থতায় জেলা আওয়ামী লীগে এক শুন্যতা অনুভব করছে দলের নেতাকর্মীরা।তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতের দিল্লিতে থাকলেও তার জন্মদিনের কথা ভোলেননি নেতাকর্মীরা। আজ ০৩ ফেব্রয়ারী শক্রবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাফিলের মধ্য দিয়ে কাজী ইরাদত আলী জন্মদিন পালন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী ১আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ,পৌর মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি হেদায়েত আলী সোরহাব,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল সালাম মিয়া সহ যুবলীগ,ছাত্রলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।