ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মাদকদ্রব্যর অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ও আলোচনা সভা রাজবাড়ীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মোজাম্মেল আটক রাজবাড়ী শহর রক্ষা প্রকল্প (ফেইজ-২) বাস্তবায়ন বিষয়ক সাধারণ সমন্বয় সভা সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করতে হবে-প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী রামকান্তপুর ইউনিয়ন ও পৌর নবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোহেল রানা। ঈদুল ফিতর’ উপলক্ষে চন্দনী ইউনিয়বাসীর সুস্বাস্থ্য, সুখ-সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ কামনা করে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-শাহিনুর পৌরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুবলীগ নেতা মীর সজল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেঈদের শুভেচ্ছা কাজী ইরাদত আলীর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ

মেয়ে ফুটবলারদের নিয়ে কলসিন্দুর স্কুলে কি ঘটেছিল

  • রিপোর্টারের নাম
  • আপডেটের সময় : ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ২৬৪ ভিউয়ের সময়

বাংলাদেশের মেয়েদের অনুর্ধ ১৬ ফুটবল দলের সদস্যদের নিয়ে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর স্কুলে আসলে ঠিক কি ঘটেছিল?
গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার নানা ভাষ্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে।
বাংলাদেশের অনুর্ধ ১৬ ফুটবল দলের বেশিরভাগ মেয়েই কলসিন্দুর স্কুলের ছাত্রী। বাংলাদেশের জাতীয় স্কুল ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে কলসিন্দুর স্কুল সবার নজর কাড়ে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফুটবলে তাদের নজর কাড়া সাফল্যের পর স্কুলের ফুটবলাররা প্রায় তারকা খ্যাতি পেয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি স্কুলের শরীরচর্চার শিক্ষক একজন মেয়ের অভিভাবককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগে তিনি থানায় মামলা করেন। ইতোমধ্যে শরীরচর্চার শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।
এসব ঘটনার ব্যাপারে কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপ্যাল মোহাম্মদ জালালউদ্দীন এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয়তোষ বিশ্বাস কথা বলেছেন বিবিসি বাংলার সঙ্গে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য দেখিয়ে দেশে ফেরা তাদের স্কুলের মেয়েদের নিয়ে এ যাবত যা যা ঘটেছে তার বিস্তারিত জানিয়েছেন তারা বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয়তোষ বিশ্বাস জানান, মেয়েদের দলটি ঢাকা থেকে ফিরে আসার পর স্কুলে একটা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল মেয়েদের এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে। সেখানে মেয়েদেরকে মিষ্টিমুখ করানো হয় তাদের কৃতিত্বের জন্য।
তিনি জানান, বৈঠকের এক পর্যায়ে আন্তস্কুল ফুটবল টুর্ণামেন্টে কলসিন্দুর স্কুল টিমের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তখন স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদার জানান, আন্ত:স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় কলসিন্দুর স্কুলের খেলা রয়েছে কুমিল্লায়। তিনি স্কুল টিমে খেলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন জাতীয় টিমে খেলা আসা কয়েকজন মেয়েকে। কিন্তু তারা জানায়, ১৭ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তাদের সংবর্ধনা দেবে। সেজন্য তাদের ঢাকায় যেতে হবে। তাই তারা খেলতে পারবে না।
প্রিয়তোষ বিশ্বাস বলেন, একথা শুনে শরীর চর্চার শিক্ষক একটু ক্ষেপে যান এবং মেয়েদেরকে বকাবকি করে বলেন, যে স্কুল টিমে খেলে তোমরা এত বড় হয়েছে, সেই স্কুলের নাম তাহলে আর মুখে নিও না। যদি নাও তাহলে তোমাদের দাঁত ভেঙ্গে দেব।
তিনি জানান, মিটিং শেষে অভিভাবকরা গ্রামের বাজারে রাতে এক চা দোকানে এ নিয়ে কথা বলছিলেন। তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন শরীরচর্চার শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদার। সেখানে এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জবেদ আলী তালুকদার একজন অভিভাবককে লাথি মারেন বলে তিনি শুনেছেন।
কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপ্যাল জালালউদ্দীন তালুকদারও বিবিসিকে একই ধরণের ভাষ্য দিয়েছেন।
তবে স্কুল থেকে মেয়েদেরকে বহিস্কার করার হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন প্রিন্সিপ্যাল এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুজনেই।
প্রিন্সিপ্যাল জালালউদ্দীন তালুকদার জানিয়েছেন, শরীরচর্চা শিক্ষককে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
সূত্র:বিবিসি বাংলা

Tag :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Meraj Gazi

জনপ্রিয় পোস্ট

রামকান্তুপুর ইউয়িনের মোহনশাহ’র বটতলার গোল চত্বর এর উদ্বোধন

মেয়ে ফুটবলারদের নিয়ে কলসিন্দুর স্কুলে কি ঘটেছিল

আপডেটের সময় : ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশের মেয়েদের অনুর্ধ ১৬ ফুটবল দলের সদস্যদের নিয়ে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর স্কুলে আসলে ঠিক কি ঘটেছিল?
গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনার নানা ভাষ্য নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে।
বাংলাদেশের অনুর্ধ ১৬ ফুটবল দলের বেশিরভাগ মেয়েই কলসিন্দুর স্কুলের ছাত্রী। বাংলাদেশের জাতীয় স্কুল ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে কলসিন্দুর স্কুল সবার নজর কাড়ে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফুটবলে তাদের নজর কাড়া সাফল্যের পর স্কুলের ফুটবলাররা প্রায় তারকা খ্যাতি পেয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি স্কুলের শরীরচর্চার শিক্ষক একজন মেয়ের অভিভাবককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগে তিনি থানায় মামলা করেন। ইতোমধ্যে শরীরচর্চার শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।
এসব ঘটনার ব্যাপারে কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপ্যাল মোহাম্মদ জালালউদ্দীন এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয়তোষ বিশ্বাস কথা বলেছেন বিবিসি বাংলার সঙ্গে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য দেখিয়ে দেশে ফেরা তাদের স্কুলের মেয়েদের নিয়ে এ যাবত যা যা ঘটেছে তার বিস্তারিত জানিয়েছেন তারা বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রিয়তোষ বিশ্বাস জানান, মেয়েদের দলটি ঢাকা থেকে ফিরে আসার পর স্কুলে একটা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল মেয়েদের এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়ে। সেখানে মেয়েদেরকে মিষ্টিমুখ করানো হয় তাদের কৃতিত্বের জন্য।
তিনি জানান, বৈঠকের এক পর্যায়ে আন্তস্কুল ফুটবল টুর্ণামেন্টে কলসিন্দুর স্কুল টিমের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা হচ্ছিল। তখন স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদার জানান, আন্ত:স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় কলসিন্দুর স্কুলের খেলা রয়েছে কুমিল্লায়। তিনি স্কুল টিমে খেলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন জাতীয় টিমে খেলা আসা কয়েকজন মেয়েকে। কিন্তু তারা জানায়, ১৭ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তাদের সংবর্ধনা দেবে। সেজন্য তাদের ঢাকায় যেতে হবে। তাই তারা খেলতে পারবে না।
প্রিয়তোষ বিশ্বাস বলেন, একথা শুনে শরীর চর্চার শিক্ষক একটু ক্ষেপে যান এবং মেয়েদেরকে বকাবকি করে বলেন, যে স্কুল টিমে খেলে তোমরা এত বড় হয়েছে, সেই স্কুলের নাম তাহলে আর মুখে নিও না। যদি নাও তাহলে তোমাদের দাঁত ভেঙ্গে দেব।
তিনি জানান, মিটিং শেষে অভিভাবকরা গ্রামের বাজারে রাতে এক চা দোকানে এ নিয়ে কথা বলছিলেন। তখন পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন শরীরচর্চার শিক্ষক জবেদ আলী তালুকদার। সেখানে এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে জবেদ আলী তালুকদার একজন অভিভাবককে লাথি মারেন বলে তিনি শুনেছেন।
কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপ্যাল জালালউদ্দীন তালুকদারও বিবিসিকে একই ধরণের ভাষ্য দিয়েছেন।
তবে স্কুল থেকে মেয়েদেরকে বহিস্কার করার হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন প্রিন্সিপ্যাল এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুজনেই।
প্রিন্সিপ্যাল জালালউদ্দীন তালুকদার জানিয়েছেন, শরীরচর্চা শিক্ষককে ইতোমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
সূত্র:বিবিসি বাংলা