স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডেঃ রাজবাড়ীর কালুখালীতে নৌকা প্রার্থীর মিছিলে না যাওয়ায় রবিউল ইসলাম নামের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে বেধরক মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
০৮ নভেম্বর সোমবার মাঝবাাড়ী ৪নংওয়ার্ডের মাদ্রাসার সামনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রবিউল ইসলামের মাথায় ৯টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। সে কালুখালী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রবিউল ইসলাম মাজবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে কালুখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা রবিউল ইসলাম জানান-সোমবার সন্ধ্যায় মাজবাড়ী ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী কাজী শরিফুল ইসলাম আমাকে তার মিছিলে যাওয়ার জন্য বলেন আমার পিতা অসুস্থ থাকায় আমি দোকানে ছিলাম মিছিলে যেতে পারি নাই।
মিছিলে না যাওয়ার অপরাধে আমি বাজার থেকে রাতে বাড়ী ফেরার সময় কাজী সাইফুল ইসলামের নির্দেশে নৌকার প্রার্থী কাজী শরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে আমাকে কাজী শানু, শাকিল, তুলন,মিঠুন, গফুরসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে, আমি জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেললে তারা আমাকে মৃত ভেবে একটি গাড়ীতে করে গুম করার উদ্দ্যেশে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় আমার মা সহ পরিবার ও এলাকার মানুষ ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে রবিউল ইসলামের মা নাজমা খাতুন বলেন- আমার ছেলেকে মেরে ফেলার উদ্দ্যেশেই মারধর করা হয়েছে আমরা গরীব মানুষ আমাদের কিসের দল আমার ছেলেকে মিছিলে ডেকেছে যেতে পারেনি তাই কি এভাবে মারধর করতে হবে এ ঘটনার আমি বিচার চাই।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলামের ভাই কালুখালি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি এঘটনার সাথে আমি বা আমাদের কেউ জড়িত নয়। এটা একটি ভিন্ন ঘটনাকে রাজনৈতিক ভাবে আমাদের জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হাসান বলেন-বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি,তাদের অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে অভিযোগ পেলে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে মাজবাড়ী ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী কাজী শরিফুল ইসলামকে একাধীকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ করেননি।