স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডে: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ঘিকমলা উচ্চ বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ও শ্রেনী কক্ষের অভাবে খোলা আকাশের নিচে রোদ-বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে ক্লাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।
গু
ঘিকমলা হাইস্কুল স্থাপিত হয় ১৯৬৯ সালে। সে তুলানাই স্কুলটির অবকাঠামো গড়ে উঠেনি।
প্রচন্ড গরম আর বৈরি আবহাওয়ার কারনে প্রায় কার্যত বিদ্যালয়টি নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। যার ফলে কোমলমতি শিশুরা শুরু থেকেই বিড়ম্ভনার মধ্য দিয়ে ক্লাশ করছে।
এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ৪৩২ জন । ছাত্র সংখ্যা ২২০ জন ,ছাত্রী সংখ্যা ২১২ জন। শিক্ষক শিক্ষিকা মোট ১৩ জন। ১০ জন শিক্ষক ও ৩জন শিক্ষিকা রয়েছেন।
নারুয়া ইউনিয়নের বেস পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে চরম শংকিত হয়ে পরেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘিকমলা হাইস্কুলের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চাই না।
তার পরেও ছাত্র-ছাত্রী বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই নিচেই মাদুর বিছিয়ে অথবা বাড়ানদায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকবৃন্দ।
এ বিদ্যালয়ে ১টি ভবনের ৫টি কক্ষে ক্লাস নেয়া হয়।যেখানে ১০ টি শ্রেণী কক্ষ দরকার। বিদ্যালয়ের ১টি চৌচালা টিনের ঘরের ৫টি কক্ষের মধ্যে প্রতিটিই বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরেছে। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে জমে যাচ্ছে পানি। তবুও বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুরে মাটিতে বসেই লেখাপড়া করছে শিক্ষার্থীরা।
সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিলেও কার্যত ভবন না থাকায় এলাকায় শিক্ষার মান উন্নয়ন বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। দ্রুত বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণ করা না হলে ভবন সংকটের কারনে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুবাষ চন্দ্র জানান, ঘিকমলা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৬৯সালে স্থাপিত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসীর সন্ত্রানদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছরিয়ে দিচ্ছে।
এলাকাবাসীর দানে যে ভবন টি স্থাপিত হয়েছিলো। সে ভনটি এখন জরাজীর্ণ খুবিই ঝুঁকিপুর্ণ। বিভিন্ন মহলে আবেদনও করেছি। ২বছর আগে ভবনের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু এখনো কোন ভবন পাইনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিদ্যালয়ে একটি বহুতল ভবন নির্মান হলে শিক্ষার মান বিকাশের পাশাপাশি বিদ্যালয়টি তার ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
সহকারী শিক্ষিকা বলেন, আমরা অতি যত্ন সহকারে শিক্ষার্থীদেরকে লেখাপড়া করাতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিন্তু লেখা পড়ায় বাধ সেজেছে বিদ্যালয়টির অবকাঠামো।
শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে বলে জানান অভিবাবক মমতাজ বেগম সহ অনকেই ।
এদিকে বিদ্যালয়ের নানা সমস্যার কথা উল্ল্যেখ করে অভিযোগ জানালেন স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘিকমলা উচ্চ বিদ্যালষের প্রধান শিক্ষক আমেকে এবিষেয়ে জানিয়েছেন অচিরেই বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।
দ্রুত এই বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মানে পদক্ষেপ নিয়ে এ অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পরিবেশ উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর