স্টাফ রিপোর্টার, রাজবাড়ী টুডে:
রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সুমন সবুজকে (৩০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় মোঃ সজিব (৩০) নামে আরো এক যুবক গুলি বৃদ্ধ হয়েছেন।
রোববার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উড়াকান্দা এলাকার সবুজের নিজ ঘরের জানালা দিয়ে তাকে গুলি করা করে দুর্বৃত্তরা।
নিতহ সবুজ বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামের সামুল আলম বাবুর ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদের ভাতিজা।
এঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল দিচ্ছে।
জানা গেছে ঈদ উপলক্ষে সবুজ ও তার কয়েজন বন্ধু মিলে গল্পগৃহ রিসোর্ট এর সামনে ডিজিটাল নৌকা, স্লিপার, ট্রলার ভাড়া করে এনে ব্যবসা করছিল।
বরাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিহত সবুজের চাচা শেখ ফরিদ জানান, জানান, উড়াকান্দা এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত গল্পগৃহ রিসোর্টের (ইউকে বিচ) পাশে সবুজ ও তার কয়েক বন্ধু মিলে ডিজিটাল বৈদ্যুতিক নৌকা, জাম্পিং স্লিপারসহ বিনোদনের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। রোববার রাত ১০ টার দিকে সবুজসহ তার আরও ৮ জন পার্টনার, অর্থাৎ মোট ৯ জন মিলে সবুজের ঘরের মধ্যে এসে রিসোর্টে এদিনের টাকা আয়ের হিসেব করছিল। ঘরের দরজা বন্ধ ছিল, তবে জানালা খোলা ছিল।
হঠাৎই সবুজের বাড়ির সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা আতংক সৃষ্টি করে। এরপর বাড়ির মধ্যে ঢুকে ঘরের জানালা দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে সবুজের কপালে এবং ঘরের মধ্যে থাকা সজিব নামে এক যুবকের পেটে ও পায়ে গুলি লাগে। এসময় ঘরের মধ্যে থাকা অন্যরা দরজা খুলে দৌঁড়ে বাইরে চলে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে চলে যায়। তাৎক্ষণিক সবুজ ও সজিবকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দু’জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সবুজ মারা যায়।
তবে কে বা কারা কি কারণে সবুজকে হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা বলতে পারেননি সবুজের চাচা শেখ ফরিদ উদ্দিন।
রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। সবুজ ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত নেতা ছিলেন। তার মৃত্যর কারন উৎঘাটন করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলজ্জামান জানান, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও এরসঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।