দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী টুডে ডট কম: রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলায় কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বালিয়াকান্দি উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কঠোর সমালোচনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম রাকিব হায়দায়।
রবিবার এই অনুষ্ঠানে, বক্তব্যের শুরুতেই হলরুমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যে সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে বৃত্তি প্রাপ্ত দশজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র তিনজন সঠিক উত্তর দিতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একে একে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজেই প্রশ্ন করে হতবাক হন।
এরপর তিনি মঞ্চে এসে বলেন, আপনাদের শিক্ষার্থীর অবস্থা এমন কেন? এর জন্য আপনারাই দায়ী। তিনি আরো বলেন, আমি কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে হতবাক হয়েছে প্রধান শিক্ষকরা এসে বলে স্যার আমার বিদ্যালয়ে সবচেয়ে বড় ফান্ড আছে, আমার বিদ্যালয়ে নয়শত ছাত্র-ছাত্রী আছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আপনার বিদ্যালয়ে কত জন শিক্ষার্থী এ প্লাস পেয়েছে, উত্তরে প্রধান শিক্ষক বলেন নয় জন। তিনি বলেন এতে আপনাদের কৃতিত্বের কিছু নেই। আপনাদের এই বড় অর্থের ফান্ড যদি শিক্ষার্থীদের কোন কাজে না আসে তবে এতে কোন লাভ নেই। তিনি শিক্ষকদের পোশাকের গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বছরে আপনারা দুই ধরনের পোশাক পড়তে পারবেন এবং সেটা আপনাদের করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, লাল রংঙ্গের টিশার্ট পরে শিক্ষক কোন রুচিতে বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে আসে এটা কোন ভদ্রতা ? তবে তিনি ধর্মীয় শিক্ষদের পোশাকের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, আপনারা কেন টিউটোরিয়াল পরীক্ষা নিচ্ছেন না? এতে আপনাদের আপত্তি কোথায়? নিবার্হী কর্মকর্তার বক্তব্যের সময় অনেক প্রধান শিক্ষকদের মাথা নিচু করে রাখতে দেখা যায়।
বালিয়াকান্দি শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুদর্শন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে আজ প্রধান শিক্ষকদের উদ্যেশে এসব কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।